:
বাংলাদেশে মোট ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড ১৯ করোনা মহামারিতে যখন বিশ্বে এক স্থবির অবস্থা বিরাজ করছিলো,থেমে গেছিলো স্বাভাবিক কার্যক্রম, বন্ধ হয়ে গেছিলো দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তখনই যাত্রা শুরু করে হেল্পিং পেজ অন ই মনিটরিং। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে তারা বিভিন্ন তথ্য দেওয়া এবং অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস এর আয়োজন করেন এখানে।
যারা প্রতিষ্ঠাতা এডমিন এস এম মামুন অর রশিদ, সহকারী শিক্ষা অফিসার, ডিপিই।তার অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পরিবারে এখন ৬৫০০০ এর বেশি সদস্য রয়েছে।
তিনি সাথে আরো কিছু অফিসার পদমর্যাদার ব্যক্তি মহাদয়,কিছু প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে ২ কোটি এর অধিক প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে শিখি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরপর করোনা পরবর্তী বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এলেও থেমে থাকে নি তাদের কার্যক্রম।
বিদ্যালয় এবং শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য একসময় বিভিন্ন কম্পিউটার এর দোকান অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে হালফিল করা হতো।এতে করে অনেক গোপনীয় তথ্য তৃতীয় ব্যক্তি জেনে যেতো যা পরবর্তীতে উদ্বেগের কারণ হয়ে যেতো।
তাই তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে অধিদপ্তর থেকে পরিপত্র জারি হয় তথ্য সুরক্ষিত রাখি চর দোকানে নয় নিজের তথ্য নিজে দেই আইপিইএমআইএস নামক একটি সাইডে নিজেদের তথ্য পূরণ করার নিয়ম প্রচলন হয়।সেখানে সাধারণ শিক্ষকেরা যখন দিশেহারা কিভাবে কি করবে তখনও এই পেজে স্বেচ্ছা শ্রমে নিয়োজিত আইটিতে দক্ষতা সম্পন্ন কিছু শিক্ষক এর সহযোগিতায় মামুন অর রশিদ (এইও) নিরলস পরিশ্রম করেন।
তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানে বর্তমানে প্রথমে ডাটা সফটওয়্যারে এন্ট্রি দিতে যা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে করতে হয়। এই কাজগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে করতে তার নিজের দাপ্তরিক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সারা বাংলাদেশের শিক্ষকদের সহযোগিতা করে থাকেন।
এই পেজের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপক্ষে একজন আইসিটি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক তৈরি করা। পেজটিতে বিভিন্ন সময়ে জুম মিটিং এর আয়োজন করা হয় সেখানে বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে আলোকপাত করা হয়ে থাকেন।
যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগের দায়িত্ব থাকা অফিসার জিয়াউল কবির সুমন, পেজের ফাউন্ডার এডমিন মামুন অর রশিদ (এইও),স্বেচ্ছা শ্রমে নিয়োজিত আইসিটিতে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ এবং সারা বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করে থাকেন।
সবাই তাদের সমস্যা ও মতামত দিয়ে থাকেন।এর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষকেরা বেশ উপকৃত হয়ে থাকেন। এই পেজের সাথে শুরু থেকে জড়িত এবং স্বেচ্ছা শ্রমে নিয়োজিত আছেন মো: আতাউল গনি ওসমানি (এপিইউইও)নীলফামারী সদর,আবু রায়হান (এপিইউইও),রানীনগর।
এছাড়াও রয়েছে ৪০ জনের মতো আইসিটিতে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ মো: মাসুদ রানা,সিরাজুল ইসলাম সবুজ,মাহমুদুল হাসান নাইস,বিলকিস পারভীন,সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ শিক্ষকেরা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের উদ্দেশ্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপক্ষে একজন আইসিটি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক তৈরি করা এবং নিজেদের তথ্য নিরাপদ রাখি নিজেদের তথ্য নিজেরা পূরণ করি এই স্লোগান প্রতিষ্ঠা করা।

