ছাগলনাইয়ায় মাদক সেবনে বাধা, হামলায় আহত ১

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ০৯ নং শুভপুর ইউনিয়নে আড্ডা দেয়া ও মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় একই ইউনিয়নের জয় চাঁদপুর গ্রামের আলা উদ্দীনের ছেলে এমরান হোসেন(১৯) আহত হয়।

হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হল ২ নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেন এর ছেলে মোঃ রাকিব(২০),সফিকুর রহমানের ছেলে মোঃ তারেক(১৮),মোঃ টিপুর ছেলে মোঃ রিয়াদ(২০),মোঃ শাহেদ(২০) পিতা অজ্ঞাত,মোঃ আকাশ(২০) পিতা অজ্ঞাত,সহাব মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম(২০),মোঃ মোস্তফার ছেলে দেলোয়ার হোসেন(২২),মোঃ ইমন পিতা অজ্ঞাত,মোঃ নিশু (২১)পিতা অজ্ঞাত। উক্ত ঘটনায় আহত এমরান হোসেন এর পিতা মোঃ আলা উদ্দীন বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সন্ত্রাসী রাকিবসহ কয়েকজন পাশের এলাকা থেকে গিয়ে সেখানে আড্ডা দেয়ায় এবং মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় সেখানকার লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। তারই ধারাবাহিকতায় ২৯ জানুয়ারী সোমবার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে এমরান হোসেন বাড়ী থেকে বের হয়ে পায়ে হেঁটে জয় চাঁদপুর বাজারের দিকে যাওয়ার পথে এছহাকের চা দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র পুর্ব শত্রুতার জেরে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা,লোহার রড,দা,ছুরি দিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হাতে, পায়ে, বুকে,পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে মারাত্নক জখম করে।

১ নং সন্ত্রাসী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করে এসময় তার ডান চোখে মারাত্নকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।বাকি সন্ত্রাসীরা তাকে(এমরান হোসেন) রাস্তার উপর ফেলে তলপেটে, বুকে, পিঠে লাথি ঘুষি মেরে মারাত্নকভাবে জখম করে।সন্ত্রাসীরা গলায় পা চাপা দিয়ে ও রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে প্রাণে হত্যা করার চেষ্টা চালায়।এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ৫০ শয্যার ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ( রেজিঃ নং- ০৪/২৩২)ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি দেখে পরবর্তীরে ২৫০ শয্যার ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় হামলায় আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। ডান চোঁখে প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় সঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন যাবত এখানে এসে আড্ড দেয় এবং মাদক সেবন করে তাদেরকে এলাকাবাসী নিষেধ করলেও তারা শুনেনা।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মজনু জানান বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি হামলার স্বীকার হওয়া ছেলেটি ভালো তার কোন দোষ ছিলনা। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবেনা।অপরাধীর যথাযথ বিচার করা না হলে ভবিষ্যতে অপরাধ আরো বেড়ে যাবে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহযোগীতা চাইলে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে ধ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।তিনি আরো বলেন বাদীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।উক্ত ঘটনার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ