বানিয়াচংয়ে নৌ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪১) নামের এক নৌ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী ব্যবসায়ী পুলক দাশকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম বানিয়াচং উপজেলার মাকুর্লি নৌ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। অপরদিকে, গ্রেপ্তারকৃত পুলক দাশ নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের ক্ষীর মোহন দাশের ছেলে।

ঘটনাটি নিশ্চিত করে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জনদে জানান, গতকাল রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। রাতেই ঘাতক পুলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রতিদিনের মত সহকর্মীদের নিয়ে মাকুর্লি বাজারে যান কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে রুহেল ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে একটি ফ্ল্যাক্সিলোড ও বিকাশের দোকানে তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় আকস্মিকভাবে হামলা চালান পুলক দাশ। এতে গুরুতর জখম হন কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তাকে আহতাবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এবং ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই হত্যাকারী পুলক দাশকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, পুলক দাশ ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে।

স্থানীয়রা জানায়, নৌ পুলিশে চাকুরি করার সুবাধে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের। ঘটনার আগের দিন ওই এলাকায় পুলক দাশকে গাঁজা সেবন করতে দেখলে, তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের ক্ষোভ থেকেই পুলক দাশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারণা।

সর্বশেষ সংবাদ