মাধবদীর চরদিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার বাহিনী কর্তৃক ঘুমন্ত এলাকাবাসীর উপর টেটা হামলার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার ভোর ৪ টার দিকে দেলোয়ার শতাধিক ভাড়াটিয়া টেটা যুদ্ধা নিয়ে পানাইবাড়ি ঘাট দিয়ে অতর্কিত ঘুমন্ত গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়ে চরদিঘলদীর আইবুল্লার ছেলে হামজা, মৃত হলুদ মিয়ার ছেলে শ্যামল, আমির আলীর ছেলে শাখাওয়াত, আঃ রশিদের ছেলে দেলোয়ার, আঃ বাতেনের ছেলে কবির ও দোয়ানী এলাকার ইয়াকুবের ছেলে কবিরসহ ১৫/২০ জনকে উপর্যুপুরি টেটা হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে বলে জানান তারা।
পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে গণধোলাই শুরু করে। এসময় প্রাণের ভয়ে দেলোয়ার ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকেই নদী সাঁতরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার দলের ১৭ সদস্যকে এলাকাবাসী আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, একক আধিপত্য বিস্তার, দলীয় নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে বিএনপি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জন্মনিবন্ধন, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়, আঞ্চলিক দলের নামে চাঁদাবাজি করা সহ বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের নামে টাকা উত্তোলনের দায়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহিনকে চরদিঘলদীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পর থেকে সে কয়েক দফা দলবল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘুমন্ত এলাকাবাসীর উপর এ পৈচাশিক হামলা চালিয়েছে
আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দোয়ানী এলাকার আক্তার হোসেন বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে দেলোয়ার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে চরদিঘলদী ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তার দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে । আমরা তার মতো সন্ত্রাসীকে আর চেয়ারম্যান পদে দেখতে চাই না। আমরা তার শাস্তি চাই।
আলী হোসেন বলেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের গড ফাদার দেলোয়ার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আঁধারে আমার ঘুমন্ত ভাইদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের রক্তাক্ত করেছে। তারা যে উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল এলাকাবাসী তা প্রতিহত করে দিয়েছে। এলাকাবাসী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ফরহাদ, আনোয়ার, মনু, আবুল,মার্কা ও আব্দুল্লা সহ ১৭ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। দেলোয়ারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আমরা এলাকায় আর কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও টেটা হামলা বরদাস্ত করব না। আমরা শান্তি চাই তাই যেকোন মূল্যে দেলোয়ার বাহিনীকে প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ।
সন্ত্রাসী আটকের বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এলাকায় যাতে কোন ধরনের অশান্তি ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য কিছু এলাকাবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি। তবে রাতের আঁধারে হামলার সাথে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।