ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী কুহেলিকা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১০ টার সময় ক্যাম্পাসের ডাইনা চত্বর সংলগ্ন বটতলায় সেচ্ছাসেবী সংগঠন অভায়রণ্যের উদ্যোগে ‘কুহেলিকা আগামণ’ নামে এই উৎসব আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রায় ১৬ টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয় বটতলা প্রাঙ্গণে। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠা, শীতের কাপড়, বিভিন্ন ধরনের বই, খাবার, কসমেটিক্স, ফুল, মেয়েদের শাড়ি, ফটোসেশান ফ্রেম ও ফটোগ্রাফি সোসাইটির আয়োজনে ছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ধরনের ছবি পদর্শণী , রিং খেলা, আলতা, ঠেলাগাড়ি, কৃত্রিম মাকড়সার জাল, ঘুড়িসহ আরো অনেক আয়োজন।
মেলায় সবার একটি আকর্ষণীয় বিষয় ছিলো চিঠিবাক্স। ক্যাম্পাসের যেকোনো শিক্ষার্থীর কাছে এই চিঠি পাঠানো যাবে। পছন্দের কারো কাছে চিঠি পাঠাতে হলে তার নাম, বিভাগ ও সেশন চিঠির খামের ওপর লিখে দিয়ে চিঠিবাক্সে ফেলে দিলে অভায়রণ্যের সদস্যরা সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দিবে চিঠি। এছাড়াও ছিল গ্রাম বাংলার রুদ্রদার পুতুল নাচের মতো আকর্ষণীয় আয়োজন। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণ।
উৎসব প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা গেলো প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। মেলায় সবাই আসছেন নিজেদের ক্যাম্পাসের উদ্যোক্তাদের থেকে পছন্দসই পোশাক কিনতে, খাবার খেতে, একসাথে ভালো কিছু সময় কাটাতে। এমন উৎসবের আয়োজন শুধুই পণ্যের বেচাকেনা নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বন্ধুদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
কুহেলিকা উৎসবে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আহমেদ বলেন, ‘কুহেলিকা উৎসব’ এর মত আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাসে ইতোঃপূর্বে দেখিনি। গতানুগতিক সংস্কৃতি চর্চায় পিছিয়ে থাকা ইবিতে এই ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য অভয়ারণ্যকে ধন্যবাদ।
এই ব্যাপারে অভয়ারণ্যের সাধারণ সম্পাদক হাসিন ইন্তেসাফ অর্প বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে। আমাদের গ্রামীণ লোকসমাজের হারিয়ে যাওয়া লোক উপাদান ডাকবাক্স ও ঠেলাগাড়ির কথা সবাইকে মনে করে দিতে আমরা এই দুটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী আছেন, তাদের কথা ভেবে আমরা মেলার আয়োজন করেছি, যাতে তারা নিজেদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তাদের নিজস্বতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন।’