ফেরদৌস আক্তার।।
ভাবতে পারিনা কখনো আর হবেনা দেখা
ভাবতে পারিনা কখনো আর হবেনা ছোঁয়া।
জীবনের মধ্য পর্বে এমন করে হাতটি ধরলে
স্বপ্নগুলো রঙিন খাতার স্বরলিপিতে হলো গাঁথা।
দুজনে মিলে ঘুরবো সবুজ ঘাসের বুকে
মেহেদিরাঙা হাতে হাত রেখে দিয়েছিলে কথা।
বলেছিলে –––★
“ভালোবাসবেকি আমাকে যদি আসে কভু দারিদ্রতা?
একটুকরো স্বপ্ন কিনতে হবে কি আমার প্রিয়তমা?
পারবে কি ভালোবাসতে আমায় দুপায়ে মাড়িয়ে সকল ব্যথা।”
তোমার চোখের কোণে জমে থাকা জলটুকুর সারমর্মটা
–––আমার ছিলো বোঝার ক্ষমতা।
বলেছিলে মৃদুস্বরে –––★
খুব বেশি ছিলো না তোমার চাওয়ার পরিধিটা,
তবু ব্যস্ততায় শুষে নিতে পারিনি তোমার হৃদয়ে জমা কষ্টটা।
আজ যাবার বেলায় যদি বলি ––আমার সকল অপারগতা ,
করবে কি ক্ষমা?
কিছুটা শ্রদ্ধায় ভরবে কি হৃদয়টা ?
নির্বাক হয়ে তোমাকে নব নির্বাচন করতেই জেগে উঠলো ফেলে আসা স্মৃতির পাতায় স্বরলিপির মানচিত্র টা।
তুমি জানো ––
কতোবার তোমার সব অপরাধ ভুলে উন্মুক্ত করেছিলাম আমার বুকের জমিনটা।
তোমার প্রতি এতো অভিযোগেও সাজিয়েছি আমার ভিতরের ফুল বাগানটা।
আমার উপলব্ধিতে বসত করে একটা উদারচিন্তার মানবিকতা ।
যার উপর ভর করে আজও বুনছি অদৃশ্য সুতোর আল্পনাটা।
অপরাহ্নের ছায়ায় আঁকি তুমি নামক আলোতে আমার অবগাহনের প্রতিচ্ছবিটা।
সুখের পায়রা গুণতে আমার অগণিত যতো প্রচেষ্টা।
আমি ঘুমিয়ে কাটাতে চাই তোমার বুকের বাঁ পাশটায়।
বেলা শেষে ভালোবাসার আকুতিতে তোমার বিদায়বেলায় রঙিন খাতার স্বরলিপিতে জীবনের আল্পনা হলো আঁকা ।