বেনাপোল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার

যশোরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেনকে ঘীরে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে বলে দাবী জানিয়েছেন খোদ ভূমি অফিসের এ কর্মকর্তা।ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলে একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছে বলে তিনি আরো জানান।

প্রকৃত সত্য জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) এর নির্দেশে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চাহিদা মোতাবেক আদালতের পি-৯৩৬/২০২২ নং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষমতা প্রাপ্ত হই।

সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক মামলা ভূক্ত জমির অফিস রেকর্ড যাচাই পূর্বক এবং বাদী বিবাদীর উপস্থিতিতে নালিশী জমির সীমানা সম্পর্কে অবগত হয়ে অধিকতর পর্যালাচোনা পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করি। সরজমিনে গিয়ে, প্রতিবেদনে আমি বিদ্যুৎ লাইন ফসলি জমির মাঝ বরাবর না গিয়ে আইল বরাবর গেছে এবং এটি হয়ত জমির ১ফুট অথবা তার অধিক যেতে পারে লিখে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এ প্রতিবেদনে একটি মহল ইর্শান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে জনমনে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছে। আমি সাংবাদিক সমাজকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানাচ্ছি।

ভূমি কর্মকর্তার এ দাবীর প্রেক্ষিতে সোমবার ( ১০ই জানুয়ারী ) বিকালে সরেজমিনে ৪ নং বেনাপোল ইউনিয়নের আওতাধীন গয়ড়া গ্রামের একাধিক স্থানীয় ব্যাক্তির সাথে কথা বলে বেনাপোল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।

নালিশী বিষয় সংক্রান্তে গয়ড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মসজিদের মোয়াজ্জেন ইমামুল ইসলাম জানান,পল্লী বিদ্যুৎ এ খুটি বাদী ও বিবাদীর উপস্থিতে ও তাদের সন্মত্তি নিয়ে পোতা হয়েছে। এখন দু পক্ষের মধ্যে মনমালিন্য হওয়ায় খুটি ও লাইন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোলযোগ চলছে এবং যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

“ বেনাপোল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক তদন্ত না দিয়ে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যাইনি।

উল্লেখ্য যে ঐ অনলাইন নিউজে বলা হয়েছে ফলজ জমির মাঝ খান দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুই মালিকানা জমির আইল বরাবর বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে এবং কোর্টে মামলা চলার কারণে বর্তমানে মটরের সংযোগটি বিছিন্ন রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ