৪০বছর পেরিয়ে গেলো মন্টু পেশাও জীবন যাত্রার মান
ঠিক তেমনটি রয়েছে। ৭০ছুই ছুই বয়স।জীর্ন শীর্ন শরীর তার। চেহারার মধ্যে ভাজ পড়ে গেছে।শরীরে বেশ কিছু রোগের বাসা বেঁধেছে।তারপরও জীবন সংগ্রামে মন্টু দাস দমে যায়নি।শত কষ্ট ও প্রতিকূল সংগ্রামে মন্টু দাস ও তার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বদরগঞ্জ পৌরশহরে
ননী গোপালের মিষ্টান্ন ভাণ্ডার সামনে ফুটপাথে বসে
মুচি(জুতা মেরামতকারী)করে। আট সদস্য সংসার মন্টু দাসের।বুকে চেপে রাখা একরাশ আর্তনাদ নিয়ে বেঁচে থাকার অবলীলায় কথা বললেন সাংবাদিককে।
মন্টু দাসের বাড়ি পৌরশহরে ৫নং ওয়ার্ডের যুগীপাড়া গ্রামে।আট সদস্য পরিবার দুটি টিনের ঘুপড়ি ঘরে থাকে।মন্টু দাসের স্ত্রী সিপিয়া দাস বলেন,তিন মেয়ে দুই ছেলেও এক ছেলের
বউ নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন পার করছি।একটি মেয়েকে ধার দেনা করে অনেক কষ্টে বিয়ে দিয়েছি বাকি দুই মেয়ে বিবাহযোগ্যা হয়েছে টাকার জন্য বিয়ে
দিতে পারছিনা।দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলেকে বিয়ে
দিয়েছি। ডেকোরেটরে কাজ করে। কোন দিন কাজ না থাকলে তার বাবার উপর চাপ পড়ে যায়।
মন্টু দাস বলেন,আমি ৪০বছর থেকে বাপ দাদার পেশা মুচির কাজ বেছে নিয়েছি।কোন দিন ৩০০থেকে ৪০০টাকা আয় হয়,আবার ঝড় বৃষ্টি হলে সেদিন কাজ
করতে পারিনা।সেদিন সংসার চলা কষ্ট হয়ে পড়ে।
সরকারিভাবে কোন বয়স্কভাতা বা অন্যকোন সাহায্য এখনো পায়নি।তিনি আক্ষেপ করে বলেন,কোন মেম্বার
চেয়ারম্যান আজ পর্যন্ত খোঁজ খবর নেয়নি।তারপর আবার শরীরে অনেক অসুখ বাসা বেঁধেছে টাকার জন্য
ভাল চিকিৎসা করাতে পারি না।
মন্টু দাসে প্রতিবেশি কেশব রায় বলেন,সে অত্যন্ত হতদরিদ্র ও নিরীহ মনের মানুষ। কারো কাছে সাহায্যর
জন্য হাতপাতা দেখিনি।জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিনীত অনুরোধ মন্টু দাসকে সহায়তা করার জন্য।
জানতে চাইলে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল মানিক রায় মাস্টার বলেন,মন্টু দাস আমার ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা। তাকে সরকারি ভাবে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তার ভাগ্য উন্নয়নে পৌরসভা থেকে
আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য কাজ করছি।