প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় সিডর বিধ্বস্ত শরণখোলার বলেশ্বর নদীর উপকূলীয় টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই দখল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও দোকানঘর নির্মাণ, কোথাও মাছের আড়ৎ,কোথাও কৃষি কাজ সহ ঘরের পাকা ফ্লোর তৈরি করছে দখলদার এলাকাবাসী।
মোড়েলগঞ্জের সন্ন্যাসী থেকে শরনখোলার সাউথখালী পর্যন্ত বেড়ীবাঁধের উপর নির্মাণ করা হয়েছে কাঁচা পাকা অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। বাগেরহাটের শরনখোলায় ২০০৭ সালে প্রলংকারী সিডর আঘাত হানার পর এলাকাবাসীর দাবির মুখে দীর্ঘ ৯ বছর পর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
৬৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ কিলোমিটার লম্বা এই টেকসই বেড়িবাঁধ ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে শুরু করে মেয়াদ বাড়িয়ে তিন দফায় এখনও কার্যক্রম চলমান আছে। দীর্ঘ লম্বা সময় ধরে এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও বেড়িবাঁধের উপর ঘরবাড়ি, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ অর্ধশতাধিক স্থাপনা গড়ে উঠেছে ।
কোথাও আবার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল ধরেছে কোথাও ধসে যাচ্ছে নির্মাণাধীন এই টেকসই বেড়িবাঁধ। ফলে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের এই কাজ হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, বেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনার তালিকা করা হচ্ছে যা দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে ।
এদিকে বেড়িবাঁধের উপর অবৈধভাবে পাকা দেওয়াল, দোকান বা মৎস্য আড়তসহ স্থাপনা তৈরি করলেও কোন ক্ষতি করছেন না বলে জানিয়েছেন দখলদাররা। কেউ কেউ বলছেন অন্যের দেখা দেখি স্থাপনা তৈরি করেছেন তারা।আবার কেউবা অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করার কথাও স্বীকার করেছেন। এদিকে বাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত পাহারাদারেরা এসব স্থাপনা না করতে নিষেধ করলেও ঠেকানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।
বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত এসব অবৈধ স্থাপনার দ্রুত তালিকা তৈরি করে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম।সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উপকূলবাসীর রক্ষাকবচ এই বেড়িবাঁধকে কতৃপক্ষ নিরাপদ রাখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।