বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তার বাহিনীর সদস্যরা পিটিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিক সুমনের (৩৫) হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এসময় যুবলীগ নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে আরো একজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রামপালের ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে সড়কের উপর হামলার পর যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিক সহ অপর আহত জিয়াউর রহমানকে (৩২) স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হামলার খবর পেয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্স সহ নেতৃবৃন্দ আহত যুবলীগ নেতা লিটনকে দেখতে উপজেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন। সংঘর্ষের আশংকায় ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে একই উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হন।
রামপাল সদর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিকের বাবা সিদ্দিক মল্লিক জানান, দলীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে রামপাল সদরের ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে সড়কের উপর আমার ছেলেকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সিদ্দিক সহ তার বাহিনীর সদস্যরা রাম দা, রড, হাতুড়ি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। এসময়ে আমার ছেলেকে বাচাঁতে গিয়ে জিয়াউর রহমান (৩২) নামে স্থানীয় এক যুবকও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আমার ছেলে সহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের আশংকায় ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। কেউ বিশৃংখলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।