পযর্টক শূন্য হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন বনবিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। খুলনা থেকে ৮০ কিলোমিটার এবং মোংলা বন্দর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্র অবস্থান। একদিনের ভ্রমণে যারা সুন্দরবন দেখতে চান তাদের জন্য আদর্শ জায়গা সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া। সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির পাশেই ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। এর সামনের খালটি কুমিরের অভয়ারণ্য। প্রায়ই লোনা পানির কুমির দেখা যায় এই খালের চরে। তবে কুমির দেখার আদর্শ এই ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এই সময়ে রোদ পোহাতে কুমিরগুলো খালের চরে শুয়ে থাকে!

হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের বিরল মায়া হরিণেরও দেখা মেলে প্রায় সময়। এখানকার ছোট ছোট খালগুলোতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙাসহ নানান জাতের পাখি। হাড়বাড়িয়ার খালে পৃথিবীর বিপন্ন মাস্ক ফিনফুট বা কালোমুখ প্যারা পাখিও দেখা যায়। মোংলা বন্দর থেকে সকালে হাড়বাড়িয়া গিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই আবার ফিরে আসা যায়। খুলনা কিংবা বাগেরহাট থেকে বাসে আসতে পারেন মোংলা। মোংলা থেকে ইঞ্জিন বোটে হাড়বাড়িয়া যেতে সময় লাগবে এক থেকে দুই ঘণ্টা। এখান থেকে পাঁচ থেকে ত্রিশজন চলাচলের উপযোগী বিভিন্ন রকম ইঞ্জিন নৌকা পাওয়া যায়। রকমভেদে সারাদিনের জন্য একটি নৌকার ভাড়া ৩ হাজার ৫শ’ থেকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা। নৌকাগুলো ছাড়ে মোংলা ফেরিঘাট থেকে এবং জয়মনিরঘোল থেকে এছাড়াও জয়মনির বাজারের লঞ্চঘাট থেকেও ছেড়ে যায়। আজ ৩১/১২/২০২২ বছরের শেষ দিন হলেও পযর্টক শূন্য হাড়বাড়িয়াতে সরেজমিনে ঘুরলেও তেমন দেখা মেলেনি দর্শনার্থীদের। হাড়বাড়িয়ার জায়গাটিতে বাঘের আনাগোনা বেশি। প্রায়ই বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখা যায়। এছাড়া চিত্রা হরিণ ছাড়াও অন্যান্য বন্য প্রাণীও এখানে দেখা মিলবে খুব সহজে। হাড়বাড়িয়ার ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হাসান ইমরান বলেন”পর্যটক মৌসুমেও পর্যটক শূন্য। আগের চেয়ে পর্যটক অনেক কম হাড়বাড়িয়ায়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি পর্যটকদের সুন্দরভাবে গাইড দেওয়ার যাতে পযর্টকদের ঘোরাঘুরি সুন্দরভাবে হয় এবং সরকারের রাজস্ব আদায় সঠিক ভাবে হয়।

সর্বশেষ সংবাদ