কুমিল্লার দেবিদ্বারে হামলা, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ বাজারে কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই মানববন্ধন করে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ভুক্তভোগীরা অংশ নেয়।
ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিেেত্ব মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চুলাশ গ্রামের কথিত সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন গ্রামের সরকারি চাকরিজীবি, ইউপি সদস্য, এমনকি ছোট ছোট ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছে। তাকে দুস্কৃতিকারী আখ্যা দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, এলাকার বিভিন্ন চুরি ও ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত বিল্লাল। যার ভিডিও প্রমাণ হাজার হাজার মানুষ মোবাইলে দেখেছে। এই দুস্কৃতিকারীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। বক্তব্যে স্থানীয় মুজিবুর রহমান মুন্সি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, এ পেশাকে পুঁজি করে কথিত ও ভুয়া সাংবাদিক বিল্লাল এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। এর নেপথ্যে তাকে সেল্টার দিচ্ছেন হুমায়ুন ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন।
প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আমাকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যাক্ত করত কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বিল্লাল। আমি থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মামলায় ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন আহমদে বক্তব্যে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ইউপি নির্বাচনে আমি কাজ করিনি, এটাই আমার অপরাধ। এই অপরাধে আমার নামে একের পর এক সাজানো মামলা দিচ্ছে। ঘটনার দিন গত ৪ ডিসেম্বর চাঁদপুরে আমি আমার সরকারি দফতরে কর্মস্থলে ছিলাম। প্রমাণ চাইলে আমার অফিসের হাজিরা খাতা ও অফিসে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। অথচ চুলাশ গ্রামে হামলা মামলার আসামী করা হয়েছে আমাকে। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রাজামহার ইউনিয়নে ইয়াবা সেবন বিক্রি, চুরি ডাকাতি, নারী নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন। সে সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
মুজিবুর রহমান মুন্সির পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বেতরা গ্রামের মো. সালাউদ্দিন, ইউপি সদস্য নবী হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, বাবুল কাজী, জসিম উদ্দিন, আবদুল আজিজ, প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার, সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম, শিউলি বেগম, ইউপি কৃষকলীগ সভাপতি মো. কবীর হোসেন, স্থানীয় শহীদুল ইসলাম মীর, ফজলুল হক সরকার প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলোর একটিরও ভিত্তি নেই। সালাউদ্দিনের নির্দেশে আমার বাড়িতে হামলা করেছে একদল কিশোর গ্যাং। হামলায় আমার স্ত্রী ও বড় ভাই গুরুতর আহত হয়। এই কারণে মামলা হয়েছে। কোন মিথ্যা মামলা করেনি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, রাজামেহারে হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।