গত কয়েকদিন ধরে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়ে চলেছে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত। একটার আগে দেখা মিলছে না সূর্যের , সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকছে শীত ও কুয়াশা। আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশের মধ্যে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সাধারণত এ জেলার একদম কাছে হিমালয় পর্বত শৃঙ্গ হওয়ায় প্রতিবারেই একটু আগেই শীত অনুভব হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, এবারো শীতের প্রকোপ দ্বিগুণ বাড়বে। আর এই শীত থেকে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিত্তবানদের প্রস্তুত থাকার জন্য জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, গত তিনদিন ধরে এ জেলায় আবহাওয়া অনেকটা ওঠানামা করছে।
হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় অন্যান্য জেলার তুলনায় পঞ্চগড়ে অনেক আগেই শীত নামে। হিমালয়-কাঞ্চনজংঙ্ঘা থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই দিন ধরে সূর্যে দেখা মিলছে দেরিতে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকছে। বিকেলের পর থেকে শীতের মাত্রা বাড়ছে।
এদিকে, শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
অসহনীয় এই অব্যাহত শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে।