বরগুনার তালতলীতে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবীণ শিক্ষক সুন্দর আলী গাজীকে হয়রানি করছে তার প্রতিবেশী আবুল কালাম।
আর এ ঘটনার মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন ও দাখিল করেছেন বড় বগী ইউপি চেয়ারম্যান।
শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে।একই জমিদাতার কাছথেকে ২০০৬ সালে জমি ক্রয় করেন। শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী ও আবুল কালাম, এবং যে যতটুকু ক্রয় করেছেন ততটুকু এখন পর্যন্ত ভোগদখলে রয়েছেন। বিগত দিন গুলোতে তারা ওই জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলো। প্রায় দুবছর আগে সুন্দর আলী গাজী তার নিজের জমিতে ওয়াল বাউন্ডারি করে ভবন নির্মাণ করেন। সে সময় কালাম সহ তার আত্মীয় স্বজনরা সুন্দর আলী গাজীর বাসায় আসাযাওয়া করতো এবং সু সম্পর্ক ছিল। কয়েকমাস আগে স্থানীয় কিছু লোকের কুপরামর্শে সুন্দর আলী গাজীর ভোগদখলীয় জমির বাউন্ডারীতে অনুপ্রবেশ ও জোর করে জমি দখলের অপচেষ্টা চালায় আবুল কালাম। এনিয়ে বাধা বিঘ্নের পাশাপাশি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এ ঘটনায় ওই শিক্ষক আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কালাম গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং সি.আর ১১৯৫/২২। অন্যদিকে আবুল কালামও একই দিনের ঘটনা দেখিয়ে পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সি.আর মামলা নং ১২০৪/২২। বিজ্ঞ আদালত মামলা ২ টি আমলে নিয়ে ১১৯৫/২২ নং মামলার আসামীদের তলব ও ১২০৪/২২ নং মামলার তদন্তাদেশ দেয় বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যানের উপর। তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর মিয়ার সাথে পূর্বের শত্রুতা ছিল।আলমগীর মিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সরজমিনে না গিয়ে মনগড়া মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী আরো দাবি করেন।
কালাম গং আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করে বিধায় আমি আদালত মামলা করেছি এবং বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সীমানা পিলার ও গাছ কাটার বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, বর্তমানের ওই ওয়াল আমার। এছাড়াও তার বিল্ডিং আমার জমিতে। আমি ৪০ ফুট জমি পাবো তার ভিতর। তবে ভেকু মেশিন দিয়ে গাছপালা ভাঙ্গার বিষয়ে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি।
বড়বগী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (তদন্ত কর্মকর্তা) আলমগীর হোসেন মিয়া তারকাটার বেড়া ও ভেকু মেশিন দিয়ে গাছপালা ভাঙার বিষয়ে বলেন আমি যা পেয়েছি প্রতিবেদনে দেয়া আছে।