মোংলায় মোয়া বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করেন আড়াই’শ টাকা। মৌসুম ভিত্তিক তিন মাস মোয়া বিক্রি করে থাকেন তিনি। তিনি ৩৫ বছর ধরে শীতকালীন সময়ে মুড়ি-গুড়ের মোয়া তৈরি করে তা হেটে হেটে পথঘাটে, বাজারে ও বাড়ীতে তা বিক্রি করে আসছেন।
মৌসুমী মোয়া বিক্রেতা আইয়ুর আলী (৬৬) জানান, তিনি ৩৫ বছর ধরে শীতকালের তিন মাস মোয়া বিক্রি করে আসছেন। যা তার পরিবারের বাড়তি আয়, এ আয় দিয়েই সংসারের খরচ চালান তিনি। প্রতিদিন তিন কেজি মুড়ি ও দুই কেজি আখ এবং খেজুরের রস দিয়ে এ মোয়া তৈরি করেন। প্রতি রাতে বানানো মোয়া বিক্রি করে পরদিন সকালে। তার এ মোয়ার কদরও রয়েছে বেশ। ভাল স্বাদ ও পুরানো ঐতিহ্যের কারণে সকলেই তার মোয়া কিনে থাকেন। মুলত শহরের মধ্যেই তিনি বিক্রি করে আসছেন এ মোয়া। তবে সবকিছুর দাম বাড়ায় এখন লাভও কম। তারপরও প্রতিদিন ৮শ থেকে ৯শ টাকা বিক্রি হলে তা থেকে আয় হয় দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের শেখ আঃ হাই সড়কে আইয়ুব আলীর মোয়া দেখে ঘিরে ধরেন পথচারীরা। বৈদ্যমারী থেকে পৌর শহরে আসা মোঃ বাবুল শেখ, সামছুল রহমান সড়কের বাসিন্দা বাবুল হোসেন রনি ও কলেজ মোড়ের আবুল বাশার বলেন, এ মোয়া গ্রামীণ পুরানো ঐতিহ্য, আগে ছোট বেলায় ধান দিয়ে মুড়ির বাটালী/পাটালী মোয়া খেতাম। এখন তো এ মোয়া দেখাই যায় না। অনেক দিন পর দেখে লোভ সামলাতে না পেরে কিনে খেলাম, খুব স্বাদ। প্যাকেটের মোয়া এতো সুস্বাদু হয়না।
আইয়ুব আলী পৌর শহরের শাহজাহান শিকারীর মোড়ের বাসিন্দা, পেশা দিনমজুর।