দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি ও স্বল্পমূল্যে বিদ্যুতের সহজলভ্যতার জন্য ২০১৩ সালে এই কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায়। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে কেন্দ্রটি ।
১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হতে শুরু করেছে এবং খুব শীঘ্রই বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে বলে দাবী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ঠদের । এই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়ে কম খরছে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। ২০২৩ সালের জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পন্ন করতে চায় কেন্দ্রটি ।
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হওয়ায় সবথেকে আলোচনা সমালোচনার বিষয় ছিল পরিবেশ বিপর্যয়ের নিয়ে । কতৃপক্ষ পরিবেশের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন । ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হতে শুরু করেছে । প্রথম ইউনিটের পর দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯.৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে । বিধি মোতাবেক সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের কাজ সম্পন্ন হয়ে ২৩ সালের জুন মাসে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা । তারা বলছেন মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি এলএনজি ও অন্যান্য তরল জ্বালানীর তুলনায় এটি কম দামে পাবেন গ্রাহকরা ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে থেকে তিনলাখ মেট্রিকটন কয়লা এসে পৌঁছে গেছে । আরো দুইলাখ টন কয়লা আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে ।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সাইদ আকরামুল্লাহ জানান পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয় সে সকল বিষয়ে ব্যাবস্হা নেয়া হয়েছে । পরিবেশ নিয়ে যারা চিন্তা করছেন তাদেরকে আশ্বস্থ করতে চাই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে জানান আমরা আস্তে আস্তে মেশিনের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্ট কম খরচে বিদ্যুতের চাহিদা পূরন করবে ।
২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায় । বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের য়ৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে ব্যায় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা ।
দেশকে বিদ্যুতে সয়ং সম্পূর্ণ করতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল । এখন দ্রুত তম সময়ে উৎপাদনে গিয়ে দেশের বিদ্যুতের কাংখিত চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা সংশিষ্টদের ।