এটি বিজ্ঞাপন এর স্থানspot_img

৬ মাসে লাখ টাকার তুলা বিক্রির আশা কৃষক নিল রজ্ঞন চাকমার

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বামে বাইবাছড়া গ্রামের উঁচু জমিতে সেচ সংকটে ধান-সবজি চাষের পরিমাণ কমেছে। সেখানে এখন তুলা চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কৃষকরা জনিয়েছেন, কম সেচ ও বৃষ্টির পানিতে চাষ হওয়ার তুলা চাষে ঝুঁকছেন তারা।

উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বামে বাইবাছড়া গ্রামের তুলা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তুলার ফলন ভালো হলে বিঘায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয় এবং কোনো খরচ হয় না। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির পানিতে বীজ বপন করে অগ্রহায়ণ মাসে তুলা ঘরে তোলা যায়। এতে তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার বামে বাইবাছড়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন আমাদের গ্রামে কয়েকজন তুলা চাষিদে দেকে আমিও উদ্বুদ্ধ হয়ে তুলা চাষ করছি।

২ বিঘা জমি এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি সব খরচ বাদ দিয়ে ২ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাব।
স্হানীয় বামে বাইবাছড়া গ্রামের প্রদান বিশ্বমুনি চাকমা(কার্বারী) বলেন তুলা চাষিদের কৃষি সম্প্রচারন অদিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে কিছু সহায়তা দিলে আগামিতে তুলা চাষের জন্য আরো অনেক কৃষক আগ্রহী বাড়বে বলে মন্তব্য করেন।

একই গ্রামের নিল রজ্ঞন চাকমা নামের আরও এক তুলা চাষি বলেন, বাইবাছড়া অঞ্চলে পানির স্তর দিনে দিনে নিচে নামছে। সেচের পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। সেখানে একবার অথবা কোনো সেচ না দিয়েই তুলা চাষ হচ্ছে। আমি কোনদিন তুলা চাষ করিনি এই বছর দু্ই জমিতে তুলা চাষ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল প্রায় ২৪ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, এই জমিতে উৎপাদিত তুলা বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হয় না। স্থানীয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নেন।
এ ছাড়া আমি তুলার রোগ বালাই পর্যবেক্ষেণ করে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এই বাইবাছড়া অঞ্চলে অনেকদিন ধরে পানির সমস্যা। তাই এই জমিগুলো তুলা চাষের জন্যই উপযোগী। কারণ এখানে অন্য ফসল খুব কম হয়।

এটি বিজ্ঞাপন এর স্থানspot_img
এটি বিজ্ঞাপন এর স্থানspot_img
এটি বিজ্ঞাপন এর স্থানspot_img

সর্বশেষ সংবাদ

এটি বিজ্ঞাপন এর স্থানspot_img