নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় গমের সাথে বিষ মিশিয়ে হাঁস মারার অভিযোগে উপজেলার মাসকা ইউপি’র হাঁস ব্যবসায়ী মো. সেকান্দার মিয়া বাদী হয়ে মাসকা (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আ: লতিফ, হুমায়ুন কবির বাকি ও মো. বাদল মিয়াসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে গত ৭ডিসেম্বর কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়- বিবাদীরা সংঘবদ্ধ গুন্ডা, প্রভাবশালী লোক। বিবাদী ও বাদী যৌথভাবে হাঁসের ব্যবসা করার সময় অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বিবাদীদের সাথে বাদী সেকান্দার মিয়া হাঁসের ব্যবসা ছেড়ে চলে আসায় শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরেই বিবাদীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে বাদীর ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
উক্ত শত্রুতার জেরে গত ৪ডিসেম্বর রবিবার আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে বিবাদী- আ: লতিফ, হুমায়ুন কবির বাকি, মো: বাদল মিয়া এবং অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫জনকে সাথে নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক কীটনাশক (বিষ) মেশানো লাল গম ভর্তি প্লাস্টিকের পলিথিনে বহন করে বেআইনি জনতাবন্ধে উল্লিখিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে কেন্দুয়া টু আঠারবাড়ী যাওয়ার পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে বিবাদীদের সাথে নিয়ে যাওয়া কীটনাশক (বিষ) মেশানো লাল গম বাদী সেকান্দার মিয়া এবং ৩নং সাক্ষী মো. সোলেমানের ফার্মে থাকা হাঁসের মধ্যে ছড়াইয়া ছিটাইয়া দিয়ে চলে যায় বিবাদীরা। হাঁস গুলো দেখতে ফার্মে আসলে দেখা যায় লাল রঙের গম পড়ে আছে এবং এগুলো খেয়ে হাঁসগুলো একের পর এক মরে যাচ্ছে। তখন ডাক চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এসে হাঁস মরার দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যায়। ততক্ষণে বিবাদীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষ মেশানো গম খেয়ে ৩’শ হাঁস মরে গেছে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১লাখ ৫০হাজার টাকা। এত বড় একটা হয়ে গেছে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন হাঁস ব্যবসায়ী। হাঁস গুলো কেন গমের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলেছে বিবাদীদের জিজ্ঞেস করলে বাদীদের এও বলে হুমকি দেয় যে এই ঘটনা নিয়ে কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে তবে আমাদের যে কাউকে ঘুম করিয়া ফেলিবে।
মামলার বিবাদী আ. লতিফ ও মো. বাদল মিয়া জানান- আমাদের বিরুদ্ধে হাঁস মারার অভিযোগে যে মামলাটি হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। মামলার বাদী খুবই লোভী প্রকৃতির তার কাজই যে কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলা করে টাকা আদায় করা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (কেন্দুয়া থানা) এসআই মোহাম্মদ আলী জানান- তদন্ত চলমান এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।