বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিকের ৬০ থেকে ৭০ জন মুসলিম প্রাথমিক শিক্ষকরা ঈদের আগে ঈদুল ফিতরের বোনাস পাচ্ছেনা।
জানাগেছে, উপজেলার প্রাথমিকের কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের মার্চের ১৩ তারিখে এক অংশের ঈদ বোনাস প্রদান করা হয়েছে। তারপর বরাদ্দ ঘাটতি হলে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি প্রদান করা হেয়েছে। সেখানেও শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় পূর্ণাঙ্গ বরাদ্দ চাওয়া হয়নি এতে করে দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দ এনেও ঈদের আগে বেতন বোনাস হতে বঞ্চিত হচ্ছেন এসকল শিক্ষক।
প্রশ্ন হলো বরাদ্দ কম থাকলে কেনো আগে থেকে তা যাচাই করা হয় না বা দ্বিতীয় বার বরাদ্দ আসলে আবার ঘাটতি হয় কীভাবে? ঈদের আগে ২৩ মার্চের মধ্যে শিক্ষকদের মার্চের বেতন, ঈদের বোনাস, বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি হয়। স্বল্প আয়ের এই শিক্ষকরা ঈদ আগে বেতন বোনাস হতে বঞ্চিত হলে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দের এই ঈদ উৎযাপন হতে বঞ্চিত হবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন অধিদপ্তরে বরাদ্ধ চেয়ে পাঠিয়েছি।বরাদ্ধ সল্পতার কারনে ৩০-৪০ জন শিক্ষক বোনাস পাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় গতবছরও এমন ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আমরা স্বল্প আয়ের শিক্ষক ঈদ উৎযাপন করতে বোনাসের দিকে তাকিয়ে থাকি। এখন কি করবো বুঝতেছি না।
বরাদ্দের হিসাব ঠিকঠাক করতে না পারা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মুস্তাফিজুর এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার অবহেলার কারনে এসকল শিক্ষকের ইদের আনন্দ মাটি হয়ে গেলে এই দায় কার!