কোন ভিক্ষা নয়, একজন অন্ধ কোরআনের হাফেজকে জিল্ড তাফসীর সহ কোরআন ক্রয়ের জন্য সমাজের অর্থবান ও বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা করতে আহবান জানিয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চাঁন সদাগর।
জানা গেছে, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের আমখাওয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ চাঁন সদাগর। মাত্র তিন বছর বয়সে গুটি বসন্তে আক্রান্ত হয়ে দুই চোখের দৃষ্টি শক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেন। ফলে পৃথিবীর সকল রং, রুপ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েন। তার বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে মা মারা যায়। ফলে সে একেবারে এতিম হয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে।
এমনতাবস্থায় বিদেশী এক ইংরেজ নারি চাঁন সদাগরকে তার নিজ গ্রাম থেকে ঢাকার আসাদ গেইট স্কুলে হাতের স্পর্ষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনার সুযোগ করে দেন। ওই ইংরেজ নারি নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পরে চাঁন সদাগর ভর্তি হন তেজগাঁও ইসলামী মিশন মাদরাসায়। সেখানে তিনি ব্রেইল পদ্ধতিতে কোরআন মাজীদ ও অন্যান্য পাঠ শিক্ষা গ্রহন করেন। সে সময় পাকিস্তানি ছাপা এক জিল্ড তাফসীর সহ কোরআন সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে চাঁন সদাগর সেই ব্রেইল পদ্ধতি দ্বারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে কায়দা, আমপাড়া, কোনআন সহ অন্যান্য পাঠ শিক্ষা দিয়ে ৪সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু গেলো করোনা কালীন সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ইউপোঁকা ও ইদুরে কেটে তাফসির খানা নষ্ট করে ফেলে। এতে বড়ই বেকায়দায় পড়ে চাঁন সদাগর। থেকে যায় তার জীবন ও জীবিকা। কেননা ওই তাফসীর সহ কোনআনটি ক্রয় করতে লাগে ২০থেকে ২২হাজার টাকা। কিন্তু এই ২০থেকে ২২হাজার টাকা সামর্থ চাঁন সদাগরের নেই বলেই তিনি সমাজের অর্থবান ও বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা করতে আহবান জানিয়েছেন। যদি কেহ চাঁন সদাগরকে তাফসীর সহ কোরআন খানা ক্রয় অথবা আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে নিন্ম ঠিকানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
শিরিনা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৬৯৪৯, ইসলামী ব্যাংক, জামালপুর শাখা।
নগদ/বিকাশ -০১৭৬১-৫৮৬৭৯১