হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা গ্রামে একটু বেশি দ্রুতই পাল্টে যাচ্ছে এ জেলার আবহাওয়া। দিনের বেলায় প্রখর রোদ থাকলেও বিকেল হতে না হতেই নেমে পড়ছে ঠান্ডা ।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় মধ্যরাতের পর উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ভোরে তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে গ্রাম ও শহরে । দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে বেশ শীত পড়ছে। সকালে শিশিরে ভেজা থাকছে মাঠ-ঘাট।
দিন-রাতে তাপমাত্রার এই ব্যাপক ব্যবধানের কারণে মানুষ যেমন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি ফসলের উপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পঞ্চগড়ে কদিন ধরে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।
শুক্রবার ( ২৯ নভেম্বর ) সকালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি। ছতবে সকালে সূর্য ওঠার পর কেটে যায় শীতের আমেজ। শীতের তীব্রতাও কিছুটা কমে। কদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকে ।
সকাল থেকে কড়া রোদের কারণে বেশ গরম অনুভূত হয়। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে বয়স্ক আর শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।