২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বুধাইবাড়ি গ্রামের মৃত মো. নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মোছা. আমেনা খাতুনের দায়ের করা একটি মামলায় তার স্বামী মো. রিপন মিয়া (৪২)’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে বিজ্ঞ আদালত।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের আমলগ্রহনকারী আদালত নং-২ এর বিজ্ঞ বিচারক আসামি মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার খোকন। মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আসামী মো. রিপন মিয়া তার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
মো. রিপন মিয়া নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সিংহেরগাঁও গ্রামের মো. মস্তুফা’র ছেলে।
মোছা. আমেনা খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামী মো.রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী-২০২৪ ইং তারিখ কিশোরগঞ্জের আমলগ্রহনকারী আদালত নং-২ এ মামলাটি দায়ের করেন। সি.আর মোকদ্দমা নং-১৬৫(১)/২০২৪।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ১ মার্চ ৫৪২নং এফিডেভিটমূলে ও ইসলামী শরা শরীয়ত মোতাবেক মো. রিপন মিয়ার সহিত মোছা. আমেনা খাতুনের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আমেনা খাতুনের পিত্রালয় থেকে মেয়েকে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও মেয়ের স্বামীকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র উপহার দেন। বিয়ের পর আমেনা খাতুন জানতে পারে তার স্বামী একজন নেশাখোর ও পেশাদার জুয়ারী। সে কোন কাজকর্ম করে না। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই ব্যবসা করার অযুহাতে আমেনা খাতুনের পিত্রালয় থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য আমেনাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে যৌতুকের জন্য আমেনা খাতুনকে মানুষিক ও শারীরিক ভাবে নির্মম নির্যাতন করতে থাকে নেশাখোর স্বামী মো. রিপন মিয়া। অবশেষে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আমেনাকে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি রিপন মিয়া। গত ৬ ফেব্রুয়ারী আমেনা খাতুনের পিত্রালয়ে এসে যৌতুকের জন্য ফের মারধোর করে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করবেনা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় সে। এর পর থেকে স্ত্রীর কোন খোঁজখবর নেয়নি এমনকি ভরণ পোষনের জন্য কোন খরচও পাঠাননি রিপন মিয়া। আমেনা খাতুন তার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে বিজ্ঞ আদালত সহ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও কোন ফল না পাওয়ায় তার পিত্রালয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গ্রেফতারী পরোয়ানা এরিয়ে আসামী মো. রিপন মিয়া বাংলাদেশের যেই প্রান্তেই থাকুকনা কেন তাকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জোর দাবী জানান স্ত্রী মোছা. আমেনা খাতুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম রফিকুল ইসলাম।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: জিয়া উদ্দিন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আব্দুর রহমান নাসির।
সহ সম্পাদক: আসমা আক্তার
সহ সম্পাদক: মোহম্মদ আবু দারদা।