দীর্ঘ তিন মাসেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) তে নিয়োগ হয়নি কোষাধ্যক্ষ। তাই নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোষাধ্যক্ষ চেয়েছেন নোবিপ্রবি ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৩ নম্বর ধারায় কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তদারক ও অর্থ-সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করবেন, বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করার জন্য দায়ী থাকবেন।
এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। যে খাতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সে খাতেই যেন তা ব্যয় হয় তা দেখার জন্য কোষাধ্যক্ষ দায়ী থাকবেন। নিয়ম অনুযায়ী একজন কোষাধ্যক্ষ সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোষাধ্যক্ষ নিজ ক্ষমতাবলে ৩০ হাজার পর্যন্ত সব আর্থিক ফাইল স্বাক্ষর করতে পারে। এর ওপরে যত আর্থিক ফাইল আছে সব উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়। এখন কোষাধ্যক্ষ না থাকায় সব ফাইল উপাচার্য এবং ডাইরেক্টর একাউন্সে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন চুক্তির ফাইলের স্বাক্ষর উপাচার্য করে থাকেন।
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হয়নি। তবে উপাচার্যের কাজের চাপ অনেকাংশে বেড়েছে।
নতুন কোষাধ্যক্ষের বিষয়ে নোবিপ্রবি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক রয়েছেন তাই আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই একজন কোষাধ্যক্ষ চাই।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স প্রায় ১৮ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছেন এবং দেশের খ্যাতনামা একাডেমিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত। বিশেষ করে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আমাদের সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে সহায়তা করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গত (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করলে কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য হয়ে যায়।