নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নিয়ম বহির্ভুত ভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের আরএকটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর/২৪) দুপুরে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন শিক্ষকেরা। তার একদিন আগে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মফেল উদ্দিন নিজ পুত্র জাহেদুল ইসলামকে বিধি বহির্ভুত ভাবে ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শিক্ষক নিবন্ধন না থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিয়োগের কারণে তার এখন পর্যন্ত এমপিও হয়নি। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল আছেন। তার সেচ্ছা-চারিতা, শিক্ষক পরিবর্তন ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক আজ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। যার কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
আরেকটি অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে ২০১৩ সাল হতে কর্মরত ছিলেন সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সেলিন ছাদেকা। বিদ্যালয়টি ২০১৯ সালে এমপিও হলে প্রধান শিক্ষক তাদের এমপিও করণের জন্য তিন দফায় তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। পরে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করায় তারা রাজি না হলে গোপনে অর্থের বিনিময়ে সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক পদে রুহুল আমিন ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে বহুলুল ইসলামকে ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যানবেইসে নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আজহারুল ইসলাম ও সেলিন ছাদেকার নাম ব্যানবেইসে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তাই সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আগের দুই শিক্ষকের পদ বহালসহ জালিয়াতি কর্মকান্ডের কারণে অবৈধ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।