সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সোনাপুর সুবর্ণচর সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
এর আগে, সকাল ১১টার দিকে সকল হল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে এক বিশাল মিছিল হলসমূহ ও পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
ছাত্র সমাবেশ থেকে ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমনসব স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো ক্যাম্পাস।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া শাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষিত যুবকের অভাব নেই কিন্তু তারপরও এই কোটার মাধ্যমে চাকরি দিয়ে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর দায় কার? কোটা পদ্ধতির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে নারীদের কোটা চাই না। পুরুষদের সাথে পরিশ্রম করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কোটা রাখার আহ্বান জানাই। একদিকে নারী কোটা নিবো, আবার আরেকদিকে সমান অধিকারের কথা বলবো তা হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আজকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে।