নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামের মৃত আছর উদ্দিনের ছেলে মো. অলিউল্লাহ বিবাদী হয়ে তার আপন ছোট ভাই রিয়াজ আহম্মেদের স্ত্রী বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুনা আক্তারকে বিবাদী করে বিভিন্ন অভিযোগ এনে শনিবার (৬ জুলাই) কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
বিবাদী মো. অলিউল্লাহ বলেন, তার ছোট ভাই মো. রিয়াজ আহম্মেদের স্ত্রী বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। পূর্ব হতেই দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। শিক্ষক রুনা আক্তারের অত্যাচারে অতিষ্ট বাসুর অলিউল্লাহ ও আশেপাশের লোকজন।
ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ শনিবার (৬ জুলাই) আনুমানিক সকাল ০৮ টার দিকে অলিউল্লাহর একটি বাছুর শিক্ষিকা রুনা আক্তারের পুকুর পাড়ে গেলে রুনা আক্তার বাছুরের মালিক অলিউল্লাহকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে অলিউল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। এছাড়াও শিক্ষক রুনা আক্তার তার শ্বাশুড়িকেও মারপিট করে বলেন বাসুর অলিউল্লাহ যদিও শ্বাশুড়ি অস্বীকার করেন। তাছাড়া শিক্ষিকা রুনা আক্তার বাসুর অলিউল্লাহ সহ অন্যান্যদের হুমকি প্রদান করে তার সাথে যে কেউ লাগতে যাবে তাকেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে।
শিক্ষিকা রুনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করে এমনকি আমাকে শারীরিক আঘাতও করে সেই সুযোগে আমার বাসুর অলিউল্লাহ ও তার স্ত্রী এবং তার বোনেরা মিলে সারাবছর আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করে আমার স্বামীর সামনে, এমনকি আমার বাসুর অলিউল্লাহ আমাকে যেকোন সময় মেরে ফেলবে এও বলে হুমকি প্রদান করে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় নারী স্বামী থেকেও নেই বললেই চলে, কারণ স্বামীর সামনে যখন স্ত্রীকে অন্য লোকজন নির্যাতন করে আর স্বামী চুপ থাকে তখন বেঁচে থাকা না থাকা সমান। চারটি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কঠিন নির্যাতন সহ্য করে আসছি। এভাবে কি মানুষ বাঁচতে পারে?
এবিষয়ে জানতে শিক্ষিকা রুনা আক্তারের স্বামী মো. রিয়াজ আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয় নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমের সাথে স্পটে কথা হলে তিনি বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছি।