এশিয়ান পেইন্টস ‘কালার নেক্সট-২০২৪’ উদ্বোধন

 

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পেইন্ট প্রস্তুতকারক এশিয়ান পেইন্টস বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীদের সাথে বিশদ গবেষণার ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ঘোষণা করেছে। শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে কালার নেক্সট-২০২৪ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান পেইন্টস ইন্টারনাশনাল এর চিফ এক্সিকিউটিভ প্রজ্ঞান কুমার, এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থপতি, ডিজাইনার এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রতিবছর এশিয়ান পেইন্টস বিভিন্ন সৃজনশীল শাখার বিশেষজ্ঞ- স্থপতি, শিল্পী, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং মিডিয়া, সমাজবিজ্ঞান ও ফ্যাশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ‘কালারনেক্সট’ তৈরি করে। এটি একটি বিস্তৃত রিপোর্ট, যা বিশ্বজুড়ে রঙ, উপকরণ, টেক্সচার ফিনিশ এবং ট্রেন্ডের ডিজাইন দিকনির্দেশনা তুলে ধরে। ২০০৩ সাল থেকে এশিয়ান পেইন্টস রঙ ও উপকরণের গবেষণা করে আসছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি নিত্যনতুন ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে। সময়ের সাথে সাথে ‘কালারনেক্সট’এশিয়ার অন্যতম এবং অনন্য রঙ ও উপকরণের নির্দেশিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের একমাত্র হোম ডেকোর কোম্পানি যারা ট্রেন্ডগুলো নিয়ে গবেষণা করে এবং গ্রাহকদের তৃপ্তি এবং সন্তোষ এনে দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

ইভেন্টে ‘কালার অব দ্য ইয়ার’হিসেবে ঘোষণা করা হয়: টেরা। বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং উষ্ণ মাটি থেকে অনুপ্রাণিত এই রঙটি, যাতে রয়েছে সমৃদ্ধতা এবং মাটির টোন। এটির মাধ্যমে স্থিরতা, উষ্ণতা, এবং মাটির সাথে গভীর সম্পর্ক প্রতীক হিসেবে প্রতিফলিত হয়, যা দেশের কৃষি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। টেরা।

এই ইভেন্টে আরো চারটি প্রেরণামূলক কালার ট্রেন্ড উঠে আসে। সয়েল, যেটির অভিনব উপাদান ডিজাইন ও সৃজনশীলতায় উৎসাহ জোগায়; ইন্টু দ্য ডিপ, এটি অপরূপ সমুদ্রের গভীরতা ও এর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা বাড়িয়ে তোলে; রেট্রোফিউচারিজম, যা চিরচেনা ল্যান্ডস্ক্যাপ, ফোকলোর গল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতকে বুঝতে সাহায্য করে; এবং গবলিন মোড, যা কি না নিখুঁত হবার তাড়নাকে দমন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়াকে নির্দেশ করে।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান পেইন্টস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী প্রজ্ঞান কুমার বলেন, “বর্ণিল, মুগ্ধকর ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই রঙগুলো নিয়ে গ্রাহক ও ভোক্তাদের মাঝে আগ্রহ রয়েছে। এশিয়ান পেইন্টস প্রতিনিয়ত গ্লোবাল ট্রেন্ড এবং সেগুলোর লোকাল সম্পৃক্ততা বিশ্লেষণ করে, যা ভোক্তাদের সামগ্রিক চাহিদার প্রতিফলন ঘটায় ও ডিজাইনকে অনুপ্রাণিত করে। এই রিপোর্টে চলতি ‘ট্রেন্ড’গুলো সামনে নিয়ে আসতে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ-বান্ধব, কার্যকর, নান্দনিক রঙ ও টেক্সচার তৈরির মাধ্যমে অভিনবত্বকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, যা সাধারণ মানুষের লাইফস্টাইলকে আরো সমৃদ্ধ করবে।”

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles