– মাধবপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর, কৃষি জমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামের মরারচর নামক স্থানে সোনাই নদীর বাঁধ ভেঙে ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা ছড়ার বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
জানা যায়- কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে উপজেলার আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষি জমির ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ছে।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান- আন্দিউড়া ইউনিয়নের প্রায় সব কাঁচা রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। পাঁকা রাস্তাগুলোরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়ছে। এছাড়াও প্রায় একশো একর সবজির জমি পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় সবগুলো পুকুর ডুবে পুকুরের মাছ চলে গেছে।
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান- ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াইশ একর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আন্দিউড়া ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের পাঁকা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও ভান্ডারুয়া, জালুয়াবাদসহ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল জানান- কড়রা ছড়ার বাঁধ ভেঙ্গে কড়রা গ্রামের বেশকিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বেঙ্গাডুবাসহ দুটি গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে বালু এসে এসব এলাকার প্রায় পনেরো একর কৃষি জমিতে বালু ভরাট হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল জানান- সোনাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে আন্দিউড়া ইউনিয়নের কিছু বাড়িঘর ও কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে।
নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কিছু বাড়িঘর, কৃষি জমি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পানি নেমে গেলে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।