ফেনীতে ঈদের দিনেই পৃথক স্থান থেকে ৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) শহরের মাস্টারপাড়া, এসএসকে সড়ক, চাড়িপুর ও শর্শদি থেকে লাশ ৪টি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঈদেরদিন বিকেলে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া লাশটি শহরের বয়োবৃদ্ধ ভিক্ষুক সিরাজুল হকের ৮ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী নাতি সাগর চৌধুরীর। গত ৫দিন ধরে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।
পিতা-মাতাহারা এতিম ছেলেটি নিয়ে বৃদ্ধ সিরাজুল হক দীর্ঘদিন ধরে শহরের দাউদপুল ব্রিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
অপরদিকে ফেনী শহরতলীর চাড়িপুর এলাকা থেকে শিরিনা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিরিন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের অলিউর রহমানের স্ত্রী।তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া সোমবার রাতে জেলার সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের জাহানপুর এলাকায় সাইফুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রামবাসীদের তথ্যমতে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ।সে ওই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কস্থ ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন ড্রেন থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ-সব বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সফিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, উদ্ধারকৃত ৪টি মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল পর্যন্ত এ ৪টি ঘটনা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাওয়া গেছে কি না জানার জন্য ফেনী মডেল থানার ওসি মো শহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে বেশ কয়েবার মুঠোফোনে কল দিয়েও না পেয়ে সরেজমিনে থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসার ছাড়া কোনো অফিসারকে পাওয়া যায় নি।
উক্ত বিষয়ে জেলা পুলিশ হতে এখনো গণমাধ্যমকে কিছুই জানায়নি পুলিশ।