‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৪’ আজ । এ উপলক্ষ্যে রবিবার (৯ জুন) সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশেন বোর্ড’ আয়োজিত র্যালিটি শিল্প মন্ত্রণালয় ভবন (৯১, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা) থেকে শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বক চত্বর), জনতা ভবন (জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়) এর সামনে দিয়ে মতিঝিল রোড ও মেসার্স পুবালী ফিলিং স্টেশন (মতিঝিল পেট্রোল পাম্প) হয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ভবনে শেষ হয়।
এর আগে রঙিন বেলুন ওড়িয়ে সিনিয়র সচিব ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ এর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস’কে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- “Accreditation: Empowering Tomorrow and Shaping the Future”।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) “বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০০৬” অনুযায়ী গঠিত হয়। জাতীয় এ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ হিসাবে এটি দেশের মান অবকাঠামো ও সাজুয্য নিরূপণ পদ্ধতির উন্নয়ন, দেশীয় পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকরন, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান, আমদানিকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রনে সহায়তা দান এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চলছে।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ টেস্টিং এবং ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে এশিয়া প্যাসিফিক এ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (APAC) ও আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি এ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (ILAC) এর পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনসহ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে Mutual Recognition Arrangement (MRA) স্বাক্ষর করেছে। ফলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিএবি’র সার্বিক কার্যক্রম স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারিগরি বাধা (TBT) অপসারণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করছে।