একুশে চেতনা যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে।শিক্ষার্থীদের মনে আগের সে অনুভূতি যেন কমতে শুরু করেছে।শুধু হ্যালো, হাই,বাই বাই,নাইস টু মিট ইউ, লাভ ইউ সো মাচ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে হৈচৈ শুরু হয় মার্চের পরে আবার ভিনদেশী ভাষার চর্চা।
ভাষার মাস বলতেই আমাদের বিশেষ নজর থাকে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিকে। একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলতে পারি গানটি গেয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেই আমাদের দায়িত্ব শেষ?
স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে এসেও আমাদের বলতে হয় দেশে দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই এখনো দখল নিয়ে রেখেছে ইংরেজি ভাষা। এখনো দেশের কিছু জায়গায় প্রশাসনিকভাবে নথিপত্রসহ সকল কিছুর কার্যক্রম পরিচালনা হয় ইংরেজি ভাষাতে। আশা রাখি একসময় বাংলা ভাষা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে নেবে। অতুলপ্রসাদের ভাষায় বলতে হয়- মোদের গরব মোদের আশা আ- মরি বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার, বাংলা ভাষা মনের ভাব প্রকাশের তৃপ্তি অন্য কোন ভাষায় পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই। তবে সৃজনশীলতা চর্চায় বাংলার মেলা ভার। বাংলা ভাষাকে লালন করে জানতে হবে, বুঝতে হবে, চর্চা করতে হবে।
নিজের ভাষা দিয়ে নিজের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম।।তাদের শপথ নিতে হবে বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা তাদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভাষাভাষীদের কাছে পৌঁছে যাবে।
যারা আজ ইংরেজি ছাড়া কথা বলেনা তাদের পড়াশুনার মাধ্যমও ইংরেজি হলে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। বাংলা ভাষার এ অবহেলার অবসান ঘটুক।বাংলাকে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের হ্নদয়ে জায়গা করে দিতে হবে।এই হউক প্রত্যাশা—
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম রফিকুল ইসলাম।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: জিয়া উদ্দিন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আব্দুর রহমান নাসির।
সহ সম্পাদক: আসমা আক্তার
সহ সম্পাদক: মোহম্মদ আবু দারদা।