বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষে পান্না মোল্লা (৪০) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এসময়ে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে পুলিশের ৩ এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য রয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগেরহাট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোল্লারকুল গ্রামের তৈয়াব মোল্লার ছেলে নিহত পান্না মোল্লার লাশ উদ্ধার করে রাতে মোল্লাহাট থানায় নিয়ে এসেছে। গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যসহ আহত অন্যদের মোল্লাহাট উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধায় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু‘ঘন্ট ধরে চলা এ সংঘর্ষে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাজী গ্রুপের পান্না মোল্লা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে এসআই মামুন, এসআই মাজহার, এসআই বিধান, পুলিশ সদস্য গোপাল, সঞ্জয় ও হাফিজ আহত হয়। এসময় গুলি, ইটপাটকেল ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের আরো ১৪ জন আহত হয়। পুলিশসহ আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাতে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে জড়িত ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মোল্লাহাট থানায় আনা হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আটককৃতদের নাম জানাতে পারেনি। উভয় গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।।