সারা বাংলায় নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পরে যখন আনন্দের উল্লাস, ঠিক সেই মুহূর্ত পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন ।
রবিবার ( ২৬ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের কর্মী-সমর্থকরা। মনোনয়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। সারাদেশের মতো পঞ্চগড়ের দুটি আসনেও দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা এবং পঞ্চগড়-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন মনোনয়ন পান। দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর পর কর্মী ও সমর্থকরা পঞ্চগড় পৌরশহরে আনন্দ মিছিল বের করেন। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। অপরদিকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিকেল ৫টার পর
। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে ।
মুক্তা হাটাও আওয়ামীলীগ বাঁচাও, হাইব্রিড হাঁটাও আওয়ামীলীগ বাঁচাও শ্লোগান দিয়ে বক্তারা বলেন, নাইমুজ্জামান মুক্তা ছাত্রলীগ, যুবলীগ করা নেতা নয়। দলে তার কোন অবদান নেই। দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে হাইব্রিড নেতাকে মনোনয়ন আমরা মানি না। এখানে তৃণমূলের কথা একবারও চিন্তা করা হয় নি। যে কারনে একযোগে আসনের বেশ কয়েকটি স্থানে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ পালিত হচ্ছে। নাইমুজ্জামান মুক্তাকে পঞ্চগড়ে’র মানুষ চিনে না। পঞ্চগড় শের-ই – বাংলা পার্ক চৌরঙ্গি মোর সংলগ্ন করতোয়া ব্রিজের প্রবেশ মুখে বিক্ষোভকারীরা শুয়ে পড়ে।
সকলের দ্বাবী দলের ত্যাগী নেতার মনোনয়ন দিলে আমরা এই আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে। একপর্যায়ে জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগামী কালকে পুনরায় সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে দেয়।
এ সময় মহাসড়কের দুপাশে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের চালক-যাত্রী ও পথচারীরা। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।