আইসিসি বিশ্বকাপ চলাকালীন কাঁধের পুরনো ইনজুরি পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় চার সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদকে।
কাঁধে সমস্যার কারণে বিশ্বকাপে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি তাসকিন। তাসকিনই সামনে থেকে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতৃত্ব দেবেন প্রত্যাশা করা হলেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে কাঁধের ইনজুরিতে ভুগেছিলেন এই পেসার।
সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী আজ জানান , ‘আসলে গত বছর থেকে নিয়মিতই ব্যথা অনুভব করছেন তাসকিন। এর সঠিক সমাধান হওয়া উচিত এবং আমরা তাকে দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে চাই। এতে দীর্ঘ সময় বোলিং করতে পারবেন না তিনি।
গত বছর থেকেই ইনজুরি নিয়ে খেলছেন তাসকিন। ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হয়েছে তাকে। যদিও অস্ত্রোপচার বিকল্প হিসেবে ছিল। কিন্তু সাফল্যের নিশ্চয়তা কম থাকায় সাধারনত এটি করেন না পেস বোলাররা।
তাসকিনের মতে, এ ধরণের ইনজুরিতে গতানুগতিক চিকিৎসায় সুবিধা পেয়েছেন। বল করতে পারলেও তাসকিনের গতি অনেক কমেছে। আর গতিই হলো তাসকিনের শক্তির জায়গা। গতি কমে যাবার কারনেই বিশ্বকাপে তাসকিনের শোচনীয় পারফরমেন্স হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ড. চৌধুরী বলেন, ‘তাসকিন এখনও বোলিং করতে পারবে। ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারলে বোলিং চালিয়ে যেতে পারবে সে। কিন্তু সমস্যা হল তার বোলিং গতি অনেকখানি কমে গেছে এবং আমরা জানি তার গতিই সবচেয়ে বড় শক্তি। তার পূর্ন ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চাইছি।
তিনি আরও বলেন, ‘চার সপ্তাহের জন্য পুরোপুরি বোলিং বন্ধ করতে হবে তাকে। চার সপ্তাহ পর আমরা তাকে মূল্যায়ন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা চাই, পূর্ণ ফিটনেস নিয়ে সে ফিরে আসুক এবং যত সময় প্রয়োজন আমরা সেটিই দেবো তাকে।
আগে ঘরের মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আগামী ২৮ নভেস্বর শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন তাসকিন।