বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এনায়েতিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস ছালাম খানের বিরুদ্ধে ষড়ন্ত্রমূলক মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেছে।
প্রভাবশালী মহলের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় সুপার আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামে প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয়, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
প্রতিবাদ সভায় এনায়েতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) সুপার মাওলানা মো. জাকারিয়া খান, শিক্ষক এসএম সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ হাওলাদার, অভিভাবক মো. আলম খান, মো. ওহিদুজ্জামান তালুকদার, ইব্রাহিম খান, সাবেক শিক্ষক মোশারেফ হোসেন তালুকদারসহ স্থানীয়রা বলেন, এনায়েতিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুল ছালাম খানের বিরুদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির দায়ে বরখাস্তকৃত সাবেক সুপার মাওলানা ফজলুল আলম নির্বাহী কর্মকর্তা, এডিসি শিক্ষা বাগেরহাট দপ্তরে মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্যে, ভুয়া উপবৃত্তির টাকা আত্মস্বাৎ, বর্তমান অবৈধ কমিটি, মাদ্রাসায় জমি দাবি করে ৩ টি হয়রানিমূলক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২টি তদন্তেই সেটি সঠিক প্রমানিত হয়নি। তিনি অভিযোগ দিয়ে তদন্তে উপস্থিত থাকেনা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় শিক্ষকদের বেতন ভাতা স্থগিত থাকে। সেই সময়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি উত্তোলন করতে পারে।
ফজলুল আলম এ ধরনের হয়রানিমূলক অভিযোগ তুলে শুধু মাদ্রাসা সুপারকে হয়রানি নয় এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে একের পর এক মসজিদের জমি নিয়ে মামলা, গাছ কাটা মামলা বিভিন্ন মামলা দিয়ে অতিষ্ট করে তুলছে বলে প্রতিবাদ সভায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়। এ সময় স্থানীয়রা বর্তমান সুপার আব্দুস ছালামের মুক্তি দাবি করে পাশাপাশি ফজলুল আলমের হয়রানিমূলক অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে সাবেক সুপার ফজলুল আলম একটি মামলায় জেল হাজতে থাকায় তার বক্তাব্য নেয়া যায়নি। #