গত রোববার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মত শিরোপা জয়ের স্বাদ নেয় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আজই নিজ দেশে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের একাংশ। কিন্তু সিডনি বিমানবন্দরে ঝাকঝমকপূর্ণ সংবর্ধনা পায়নি প্যাট কামিন্সের দল। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলনা কোন অভ্যর্থনা বা ভক্তদের ঢল । তারপরও সিডনি বিমানবন্দরে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
সংবাদমাধ্যমকে কামিন্স বলেন, ‘আধা ঘন্টা পরপরই মনে পড়ছে বিশ্বকাপ জিতেছি। বিশ^কাপ জয়ের মোহ এখনও কাটেনি।’
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শুরু করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি অসিদের। টানা ৯ ম্যাচ জিতে বিশ^কাপ ট্রফি পুনরুদ্ধার করে তারা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ২৪০ রানে আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে ৪২ বল বাকী রেখেই ফাইনাল জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১২০ বলে ১৩৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন হেড।
বিশ্বকাপ জয়ের পর দলে থাকা সাতজন খেলোয়াড়কে ছাড়াই আজ দেশের ফিরে অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের অংশ নিবেন ঐ সাতজন খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপ জয়ের তিন দিন হয়ে গেলেও, এখনও শিরোপার নেশায় ডুবে আছে অস্ট্রেলিয়া দল। তেমনটা অকপটে জানিয়ে দিলেন কামিন্স। তিনি বলেন, ‘প্রতি আধঘণ্টা পরপরই মনে পড়ছে, আমরা মাত্রই বিশ্বকাপ জিতেছি এবং আবার রোমাঞ্চিত হয়ে উঠছি। আমরা এখনও বিশ^কাপ জয়ের নেশায় বুদ হয়ে আছি।’
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রাখা ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের কারণে চলতি বছরটিকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুর্দান্ত হিসেবে অভিহিত করেন কামিন্স। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া এ বছর বিশ্বক্রিকেটে সেরা দল অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স বলেন, ‘দারুণ একটি বছর। এমন অর্জন দিয়ে শেষ করা, অসাধারণ। আমার মতে, খেলোয়াড়রা তাদের লিগ্যাসি তৈরি করেছে। প্রতি চার বছরে বিশ্বকাপে একবার খেলার সুযোগ পান। বিশেষ করে ভারতের মতো জায়গায় খেলাটা, যথেষ্ট কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের সাথে দেশের বাইরে অ্যাশেজ সিরিজ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় ছিলো। আমরা এর চেয়ে ভালো কিছু পরিকল্পনা করতে পারতাম না। আমরা সদ্যিই তৃপ্ত।’
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে কামিন্সের সাথে দেশে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউডরা। ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরবেন বিশ্বকাপ ফাইনালের হিরো ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, জশ ইংলিশ, এডাম জাম্পা এবং বিশ্বকাপে ট্রাভেলিং রির্জাভে থাকা তানভির সাংহা।
আগামী মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য আবারও একত্রিত হবেন বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়রা।