তফসিল ঘোষণা ও বিএনপি’র অবরোধকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অংশ হিসেবে রংপুর মহানগরীতে বিশেষ মহড়া প্রদর্শন করছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। সাথে সাথে চলছে তল্লাশী ও পেট্রোল পাম্পসহ বিশেষ অভিযান।
আজ বুধবার ( ১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে এই বিশেষ মহড়া শুরু করে সংস্থাটি। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ( অপরাধ) আবু মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে ২০টি গাড়ি, সাজোয়া ট্যাংক, রায়ট কার সাইরেন বাজিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মহড়া দেয়। মহড়ায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়, পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) আরিফুজ্জামান আরিফসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
একই সাথে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পসহ স্থাপনাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি মোটরসাইকেল, অটোসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং সন্দেগভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশী করছে পুলিশ। পোশাকি ছাড়াও বিপুল পরিমান সাদা পোশাকের আইনশৃঙখলা রক্ষকারী বাহিনী পুরো নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণস্থানে সতর্ক পাহাড়া বসিয়েছে।
মহড়ার আগে শাপলা চত্বরে ব্রিফিংয়ে উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, তফশিল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি এবং গণমাধ্যমে তাদের ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলছে। এবং তাদের যে চলমান কর্মসূচি আছে সেগুলো নাশকতামূলক কর্মকান্ড একিভূত আছে। আজকের এই মহড়ার মাধ্যমে আমরা যে ম্যাসেজটি দিতে চাই সেটা হলো রংপুর মহানগরীতে কোনধরণের কোন নাশকতাকারীকে আমরা স্পেয়ার করবো না। এ ধরণের কোন প্রস্তুতি গ্রহনের কেউ চেস্টা করলে সাথে সাথে তা আমরা কঠোরভোবে প্রতিহত করবো। আমরা জিরো টলারেন্সে আছি, কেউ যেন সাহস না পায় এ ধরণের কোন নাশকতামূলক কর্মকান্ড করতে সাহস না পায়।
মারুফ বলেন, আমরা শুধু পোশাকে থাকি না। আমাদের একটা বিশাল গোয়েন্টা টিম আছে। ইনটেলিজেন্স টিম আছে। তারাও কাজ করছে মাঠে। নাশকতামূলক কর্মকান্ডের প্রস্তুতি যারা করে তাদেরকে আমরা গোয়েন্দা টিম দিয়ে গ্রেফতার করছি। মনিটর করছি। আমরা গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকায় ৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা নানাভাবে তথ্য পেয়ে তাদের গ্রেফতার করেছি। তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, তারা বিএনপি বা জামায়াত সেটা দেখার বিষয় নয়। তারা আমাদের কাছে আইনবিরোধী কর্মকান্ডের সাখে জড়িত হিসেবে বিবেচিত। তারা আইনলঙঘনকারী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। তাদেরকেই আমরা আইনের আওতায় এনেছি।এরমধ্যে ৮ টি মামলা হয়েছে। ৯ টি পেট্রোল বোমাসহ সব মামলার আলামত আমরা কোর্ট সোপর্দ করেছি।
গ্রেফতারের ব্যাপারে বিএনপির অভিযোগ বিষযে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। যাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। #