আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য চাই স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট শিক্ষকরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে শিক্ষকদের সন্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নযন ও সুশাসনের পাশাপাশি শিক্ষার যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত দিনে কোন সরকার তা করে নাই। এসব কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিন্ত্রী আলহাজ্ব এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধায় নাটোরের সিংড়ায় উপজেলাধীন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষক-শিক্ষিক্ষাদের নিয়ে আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং শিক্ষকদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি শিক্ষাকে কখনো ব্যয় মনে করতেন না, তিনি শিক্ষাকে মনে করতেন বিনিয়োগ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু একযোগে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একদিনে জাতীয়করণ করেছিলেন। তার ৪০ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে একদিনে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। গত ১৪ বছরে আমরা সিংড়ায় ১৪৪টি নতুন প্রাইমারী স্কুলের ভবন নির্মাণ করেছি, হাইস্কুল-মাদ্রাসা মিলিয়ে ১০০টিরও বেশী নতুন ভবন নির্মাণ করেছি।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, আমাদের এই সিংড়া উপজেলায় ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৫টি নিম্ন/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ মাদ্রাসা মিলিয়ে প্রায় ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে প্রায় ৮৫ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে। বাংলাদেশে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ, তাই আমাদের আগামী ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এদের উপর। আমরা সকলেই জানি, শিক্ষাই হচ্ছে একটি জাতির মেরুদণ্ড । বিশ্বের কোনো জাতি, কোনো দেশ এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক করে না। আর এই শিক্ষার মেরুদণ্ড হচ্ছে শিক্ষকরা।
পরিশেষে প্রতিমন্ত্রী পলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গঠন করার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সস্পাদক ও পৌর মেযর আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক রকি, ইটালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম আরিফ, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লৎফুল হাবিব রুবেল, অ্যধক্ষ আব্দুল আউয়াল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলী আশরাফ সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।