পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বিশ্বের সর্বোপরি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাসজুড়ে দানোত্তম কঠিন চীবর দান গত প্রবারণা পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত চলবে। এরপর দানোত্তম কঠিন চীবর দান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
এই উপলক্ষে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন বঙ্গলতলি এলাকায় বোধিপর বন বিহারে ১২ ও ১৩ নভেম্বর দু’দিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বোধিপুর বন বিহারে দু’দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান গতকাল ১২নভেম্বর রাত ৮ ঘটিকায় বেইন ঘর শুভ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে। রাত ১০ ঘটিকায় বেইন বুননকারীরা ধর্মীয় রীতিনীতিতে পঞ্চশীলে অধিষ্ঠিত হয়ে রাত ১০টার পর পুরোদমে বেইন বুননের কাজ শুরু হবে।
তন্মধ্যে রাত ১টা ৩০ মিনিটে সুতা রং করা, সুতা আগুনে শুকানো, চোড়কায় সুতা বাঁধানো সহ ইত্যাদি কার্যক্রম একযোগে শুরু হয়।
গতকাল ১৩ নভেম্বর সারারাত চীবর বুননের কাজ করেছে বিভিন্ন পাড়ার নারীরা। আজ ১৩ নভেম্বর বিকালের অনুষ্ঠানে এই কঠিন চীবরটি অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্য দান করা হবে বলে জানান অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাতুল ময় চাকমা।
বোধিপুর বন বিহারে ২২তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উপলক্ষে পুরো এলাকাজুড়ে নানারকম আলোকসজ্জা সাজানো হয়েছে। হাজার হাজার পুর্ণ্যার্থীদের আগমন করতে আজ দুপুর থেকে লক্ষ্য করা গেছে। পুরো এলাকাজুড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুর্ণ্যার্থীরা এই মহতী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুর্ণ্য অর্জনের জন্য মিলিত হচ্ছেন।
একদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধের মিলন মেলায় পরিণত। অন্যদিকে, বোধিপুর বন বিহারে পুর্ণ্য সঞ্চয়ের দর্শন ঘটছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
ধর্মীয় সভায় উপস্তিত ছিলেন বাঘাইহাট বনানি বন বিহারের অধ্যক্ষ কৃপারত্ন ভান্তে, খাগড়াছড়ি আলুটিলা ভাবনা কেন্দ্র অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় করুনা দ্বীপ ভান্তে, অজল চুগ বন বিহারের অধ্যক্ষ সত্যমতি ভান্তে।
অনুষ্টানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বৌদ্ধ জ্যোতি মহাস্হবির ভান্তে। এসারাও উপস্তিত ছিলেন ৩৫ নং বঙ্গলতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান জ্যোতি চাকমা,শুভ শান্তি চাকমা মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।