ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন এর সেমিনার কক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসমুহের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ও সভাপতি স্পোর্টস বোর্ড অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণসহ শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে আমরা প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ চালু করি। এছাড়া একই বছর দেশের সকল সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয়।
১ম আসরে ৬৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭০০ ক্রীড়াবিদ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এই আয়োজনে বহু তরুণদের সাড়া জাগানো উৎসাহ ও আগ্রহ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মোট ১০৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫০০ জন ক্রীড়াপ্রেমি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই” প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপের ২য় আসর। ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে আয়োজিত হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের ৩য় আসর। ৩য় আসরে মোট ১২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৭০০০ ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ আয়োজিত হয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা গতবছর থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, খেলাধুলাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটির ১ম পর্যায়ে ১২৫টি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে গত অর্থ বছরে ১৬শত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ১৮৬টি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ৩য় পর্যায়ে আরো ১৭১টি স্টেডিয়াম নির্মাণের ডিপিপি প্রনয়ন পূর্বক অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যান ফাউন্ডেশনে’র সীডমানিকে আমরা গত ৫ বছরে ১৭ কোটি টাকা থেকে ৬৭ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। প্রথমবারের মতো এ বছর থেকে মেধাবী খেলোয়াড়দের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছি। ফাউন্ডেশন থেকে অসুস্থ অসহায় দুস্থ খেলোয়াড়দের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমি দায়িত্ব গ্রহন করেই বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যান ফাউন্ডেশন থেকে প্রথমবারের মতো “ক্রীড়াভাতা” চালু করেছি।