কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের পূর্ব নোয়াহাটি ও গাজীরটেকের মাঝামাঝি ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত ১১নভেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বি আই ডব্লিউ টি এ. নাবিক হাউজ বোট-১৩ এর মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের পূর্ব নোয়াহাটি ও গাজীরটেকের মাঝামাঝি ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছিলো মোটা অঙ্কের টাকা।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের ইচ্ছেমতো নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে নদীর দু’পাশের শত শত একর জমি হুমকির মূখে পরায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এর প্রতিকারের দাবী জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক।
স্থানীয় কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া, কালিকাপ্রসাদ গ্রামের কৃষক মো. জিয়া উদ্দিন (৫৫), মোহাম্মদ আলী (৪৭), মিজান (৩৭), গাজীরটেক গ্রামের কৃষক মিষ্টু মিয়া (৬০) ও মো. খোকন মিয়া (৪০) বলেন, প্রায় দুই বছর আগে সরকারি ভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের ওই স্থানটি খনন করা হয়েছিলো। উক্ত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর দুই পার্শ্বের জমি, গ্রাম ও হাইওয়ে রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এব্যাপারে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্জয় দরশনকে বলেন, আজ (১১নভেম্বর শনিবার) ওই স্থানে বালু উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসছি এবং ড্রেজারের চাবি নিয়ে এসেছি। এছাড়া উত্তোলনকৃত বালু কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের জিম্মায় রেখে এসেছি। তারা আর বালু উত্তোলন করতে পারবেনা।