সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকেই এগিয়ে রাখছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডুসেন

 

 

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার অবশ্যই জয়ের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রোটিয়া ব্যাটার রাসি ফন ডার ডুসেন।

গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মাধ্যমে ৯ ম্যাচে সাত জয়সহ শক্তিশালী আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেমিফাইনালে মাঠে নামতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আহমেদাবাদের ম্যাচটিতে ম্যাচ সেরা ফন ডার ডুসেন অপরাজিত ৭৬ রান করেছেন। সেমিফাইনালের পথে দক্ষিণ আফ্রিকান স্বাগতিক ভারত ও বিস্ময়কর ভাবে নেদারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৪ রানে পরাজিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফন ডার ডুসেনের মতে সেমিফাইনালে ম্যাচটি একটি ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সেমিফাইনালের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। কারন অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের আগে থেকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা আমাদের নেই। বিশ্বকাপে কিভাবে জয়ী হতে হয় সেটা তারা জানে। চার বছর আগেও তারা সেমিফাইনালে খেলেছিল। সে কারনে আমি বলবো এদিক থেকে আমরা কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছি। ঐ দিনটিতে যে দল নিজেদের সুযোগগুলো সঠিক উপায়ে কাজে লাগাতে পারবে তারাই জয়ী হবে। সঠিক পরিকল্পনা করাও গুরুত্বপূর্ণ।’

ফন ডার ডুসেন আরো বলেন, ‘টুর্ণামেন্টের শুরু থেকে আমরা প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের মানসিকতা সেট করে রেখেছিলাম। আমি মনে করি না, এর থেকে পরিস্থিতি খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি পরের ম্যাচটিও ভাল হবে, অস্ট্রেলিয়া অসাধারণ একটি দল।’

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দুইবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালের ম্যাচটি ছিল সবচেয়ে দু:খজনক। ম্যাচটি টাই হবার পর গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকার কারনে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।

ফন ডার ডুসেন বলেন, ‘৯৯ সালে আমার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে কারনে সবকিছু খুব একটা মনে নেই। কিন্তু ঐ আসরে আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ছিল। ২০০৭ সালে আবারো আমাদের সামনে সুযোগ থাকলেও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তবে সবকিছু মেনে নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে গেছি। কেউ জিতবে, কেউ হারবে, এটাই নিয়ম।’

প্রোটিয়া এই টপ অর্ডার ব্যাটার বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে এই মুহূর্তে যে আলোচনা হয়েছে সেটা হলো আগামী ১৯ নভেম্বর ফাইনালে আমরা বিশ্বকাপ হাতে নিতে পারবো কি পারবো না। যা হবার তাই হবে, কিন্তু আমরা অবশ্যই হারানো স্মৃতিগুলো থেকে ফিরে এসে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

গ্রুপ পর্বে ভাল খেলার পরেও অতীতের সব আসরেই নক আউট পর্বে এসে হোঁচট খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারনে ‘চোকার্স’ উপাধিও পেতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে নিয়ে সেই বদনাম থেকেও বেরিয়ে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রোটিয়ারা।

আফগানিস্তানের বিশ্বমানের স্পিন আক্রমনের বিপরীতে ২৪৫ রান তাড়া করতে গিয়ে এক সময় ১২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অবস্থা থেকে ফন ডার ডুসেন ষষ্ঠ উইকেটে আন্দিলে ফেলুকুয়ায়োর সাথে ৬৫ রানে অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে জয় উপহার দেন। ফেলুকুয়ায়ো ৩৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফেলুকুয়ায়োর প্রশংসা করে ফন ডার ডুসেন বলেছেন, ‘সে দুর্দান্ত খেলেছে। মূলত পুরো বিশ্বকাপেই এবার সে দলের প্রয়োজনে নিজেকে প্রমান করেছে।’

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles