রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে – বাণিজ্যমন্ত্রী

 

দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রপ্তানি আয় বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। লাল ‘ফিতার দৌরাত্ম্য‘ এই শব্দ দুটি ভুলে যেতে হবে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি আয়োজিত ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন‘ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ডেনিমে প্রথম এবং তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি আমাদের মত দেশের জন্য কত যে গৌরব ও অহংকারের তা সবাই বুঝি। সেবা নিশ্চিত করতে হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। এই শব্দ আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দায়িত্বে অবহেলা করে টেবিলে কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়।যেদিনের কাজ সেদিনেই করতে হবে। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।

তিনি জানান, রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনাময় খাত আছে। দেশে রপ্তানিযোগ্য বৈচিত্র্যময় নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে। এগুলো কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন ২০৩০ এবং ২০৪১ সালের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১২ হাজার ডলার দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু। তা এখন প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনাম আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নিয়ে যদি ২৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে তাহলে আমরা কেন ৬০ বা ৭০ বিলিয়ন ডলারে পড়ে থাকবো। আমরা পারবো কারণ আমাদের সে সামর্থ আছে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি না দিয়ে গরীব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন দেশ ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশটা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য ও রপ্তানি যুদ্ধেও বিজয়ী হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এসময়, ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন‘ নামের পরিবর্তে ‘রপ্তানি ভবন‘ রাখার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন টিপু মুনশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles