কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ।
এ বছরের ২৫ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্ত ২ সপ্তাহ পার হলেও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এই নেতা এখনো কারন দর্শানোর কোন জবাব দেন নাই।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সময়ে সতর্কীকরন সত্বেও নির্দেশনা অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে তিনি প্রকাশ্যে অশালীন বক্তব্য প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রমান জেলা আওয়ামীলীগের সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে বলে নাম প্রাকাশে জেলা আওয়ামীগের প্রভাবশালী এক নেতা জানান, তিনি আরও জানান মাঠ পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে বিভিন্ন সময় অশালীন ও অসাংগঠনিক বক্তব্য দিয়েছেন যা নিজেদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাকে কেন সাময়িক বহিষ্কার করা হবে না এ ব্যাপারে কারণ নোটিশ প্রদান করা হয় যা ওই নোটিশেও উল্ল্যেখ রয়েছে। । সাবেক রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদ বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমান কমিটির সদস্য ছাড়া আর কোন দলীয় পদে নেই ।
এর আগে তিনি রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিককালে তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বর্তমানে আওয়ামীলীগের মনোনীত রামপাল ও মোংলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুননাহার তালুকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখেন যা গণমাধ্যম এবং অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। যা দলের ভাবমুর্তি নষ্ট ও শৃংখলা ভংগের বহিঃপ্রকাশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ও রামপাল এবং মোংলার উপজেলার আওয়ামী লীগের একাধিক সদস্য জানান,জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কারের মতামত দিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায় এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শেখ আবু সাঈদ অশালীন এবং অসাংগঠনিক বক্তব্য রাখার কারনে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ২ সপ্তাহ আগে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্ত এখনো তার কোন জবাব দেননি তিনি।
এ ব্যাপারে শেখ আবু সাঈদের সঙ্গে বারবার মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।।