কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’কে দেখতে হাসপাতালে যান ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স) মারুফ হোসেন সরদার, বিপিএম (সেবা), পিপিএম।
শনিবার (৪নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’কে দেখে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ইমরান রহমান, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন খান, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আখতার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তমাল কান্তি মল্লিক সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বিএনপি-জামাতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেন ও রেফায়েত উল্লাহ তনয় নামে ২ বিএনপি নেতা নিহত হয়। হামলায় কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহত কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ এখনও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত বিল্লাল হোসেন স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও মাধবদী গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। ইউনিয়ন যুবদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ তনয় বড় ছয়সূতী চক বাজার এলাকার কাউসারের ছেলে।