কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর এলাকার বেতিয়ারকান্দি মহল্লার বাসিন্দা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলমসহ ৫ জনকে ভৈরবের একটি বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ভৈরবের কমলপুর এলাকাস্থ তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে একদল ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জালাল উদ্দিন।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার শনিবার সকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১নভেম্বর কুলিয়ারচর থানার দুই উপ-পুলিশ পরিদর্শকের দায়ের করা তিনটি মামলার দুইটিতেই বিএনপি’র ওই কেন্দ্রীয় নেতা মো. শরীফুল আলম প্রধান আসামি।
শরীফুল আলমের সঙ্গে ভৈরব উপজেলা বিএনপি নেতা ভিপি সাইফুল হক, নূরুজ্জামান মিয়া, সেই বাড়ির মালিক মাজহারুল হক ও শরীফুল আলমের গাড়িচালক রতনকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেন (৪০) ও রেফায়েত উল্লাহ তনয় (২৩) নামে ২ বিএনপি নেতা নিহত হয়। হামলায় কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত থানার অফিসার ইনচার্জ এখনও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত বিল্লাল হোসেন স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও মাধবদী গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। ইউনিয়ন যুবদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ তনয় বড় ছয়সূতী চক বাজার এলাকার কাউসারের ছেলে।
শরীফুল আলমকে আটকের নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপি’র সহসভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত। তাঁরা অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।