সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের হাফ-সেঞ্চুরি সত্বেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪৬ দশমিক ৩ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন এঙ্গেলব্রেখট। নেদারল্যান্ডসের চার ব্যাটার শিকার হয়েছেন রান আউটের। আফগানিস্তানের তিন স্পিনার মোহাম্মদ নবি ৩টি, নূর আহমেদ ২টি ও মুজিব উর রহমান ১টি উইকেট নেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় নেদারল্যান্ডস। ব্যাট হাতে প্রথমে ওভারেই উইকেট হারায় ডাচরা। স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে আউট হন ১ রান করা ওয়েসলি বারেসি। বারেসিকে শিকার করে আফগানিস্তানের চতুর্থ বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১শ উইকেট পূর্ণ করেন মুজিব।
শুরুর ধাক্কা দ্বিতীয় উইকেটে সামাল দেন ম্যাক্স ও’দাউদ ও কলিন অ্যাকারম্যান। আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬৩ বলে ৬৯ রান তুলে আফগানিস্তানকে চাপে রাখেন তারা।
তবে ১২তম ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ও’দাউদ। ৯টি চারে ৪০ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৭৩ রানে চার নম্বরে নামা সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অ্যাকারম্যান। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। রান আউটের শিকার হয়ে ৪টি চারে ২৯ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন অ্যাকারম্যান।
অ্যাকারম্যান ফেরার পরের ডেলিভারিতে রান আউট হন নতুন ব্যাটার ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরপর বাস ডি লিডেকে ৩ রানে শিকার করেন আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী। এতে ২১তম ওভারে ৯৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস।
লিডের আউটের পর দলীয় ১শতে পৌঁছালেও দ্রুতই আরও ২ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। সাকিব জুলফিকারকে ৩ রানে নূর আহমেদ ও লোগান ফন বিককে ২ রানে বিদায় করেন নবি। তবে এক প্রান্ত আগলে ৭৪ বলে ওয়ানডেতে ও বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন এঙ্গেলব্রেখট।
অর্ধশতকের পর রান আউটের ফাঁদে পড়েন এঙ্গেলব্রেখটও। ৬টি চারে ৮৬ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। দলীয় ১৫২ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে এঙ্গেলব্রেখট ফেরার পর টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় ৪৬ দশমিক ৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৭৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়ে নেদারল্যান্ডস। নীচের দিকে রোলফ ফন ডার মারু ১১, আরিয়ান দত্ত অপরাজিত ১০ রান করেন। আফগানিস্তানের নবী ৩টি, নূর ২টি ও মুজিব ১টি উইকেট নেন। এই ইনিংসে নেদারল্যান্ডসের চার ব্যাটার রান আউটের শিকার হন। এবারের বিশ^কাপে ডাচদের সর্বোচ্চ আট ব্যাটার রান আউট হয়েছেন।