ময়মনসিংহের ভালুকায় পূর্ব বিরোধের ৪১ শতাংশ জমি দখল করতে গিয়ে একটি জুয়েলারির দোকান লুটপাট ও স্থানীয় ছাত্রলীগের একটি অফিস ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার হবিরবাড়ী এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে সাকিল আহম্মেদ (২৩), মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (২২), পাড়াগাঁও শিরিরচালা এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার জয়নাল আবদীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৭) ও সখিপুর উপজেলার ছোটপাথার এলাকার ইয়াম উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, (০৩-১১-২০২৩ইং) তারিখ শুক্রবার ভোর সকালে জামিরদিয়া মৌজার ২০২ ও ২০৭নং দাগের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় আব্দুল হাই গংদের সাথে তোফাজ্জল হোসেন গংদের দীর্ঘ্য দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে আব্দুল হাই দুটি ট্রাকে করে প্রায় অর্ধশত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে হামলা করে।
বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সের মালিকের ভাই রিফাত হোসেন জানায়, হামলাকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্যাশে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকাসহ জুয়েলারীর ২০ লাখ টাকার সোনা ও রুপা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা বিরোধপূর্ণ জমির টিনের বেড়া গুড়িয়ে দেয় ও ছাত্রলীগের একটি অফিস ঘর ভাংচুর করে।
ভাংচুরের শব্দে স্থানীয়র জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা ট্রাকে করে পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৫ জন গাড়ীতে উঠতে না পারলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় আব্দুল হাই বলেন, তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি উল্টো দোষারোপ করে বলেন, তোফাজ্জল হোসেন গংরা গত ২২অক্টোবর তাদের জমি দখল করে নিয়ে তাতে টিনের ভেড়া দিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।