রংপুরে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে কোল্ড স্টোর থেকে পাইকারি দামে আলু কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরে বিক্রি করার আহবান জানিয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভায় জেলার আট উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ সকল কোল্ড স্টোর মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু কোল্ড স্টোরে ২২৩৭৭মেট্রিক টন খাওয়ার আলু এখনো মজুদ রয়েছে। আপনার যদি প্রতিটি কোল্ড স্টোর থেকে প্রতিদিন ২০ মেট্রিক টন আলু ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন তাহলে বাজার সাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে। এদিকে,বীজ আলু রয়েছে ৭২০০৬ মেট্রিক টন। মোট আলু রয়েছে ৯৪৩৮৩ মেট্রিক টন।
এতে পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন,যদি কেউ কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরের বেশি দামে আলু বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলুর রপ্তানি করণে উপবৃত্ত, সংরক্ষণের অভাবে দাম বেশি। কোল্ড স্টোর থেকে কেজি প্রতি ২৭ টাকা
বিক্রির নির্দেশ থাকলেও কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি আলু বিক্রি করছে ৬০ টাকা করে। তবে ব্যবসায়ীরা ২৭ টাকা দামে আলু বিক্রি করতে না খোছ।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে পাইকারি দামে কোল্ড স্টোর থেকে আলু বিক্রি হয়েছে ৩৬/৩৭ টাকা দরে।
রংপুর জেলা আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজ্যি বনিক জানান,অপু মুন্সি হিমাগার,সুপ্রিম,সিনহা,শাহ, আমানত, শাহ শূলতান,শাহ্ পরান, মোস্তফা, উত্তম আশা,ভরসা,
সর্পশালাইজ, হিমাদ্রি, চৌধুরী আলু বেশি আছে।
রংপুরে প্রতি মাসে মাসিক ১০ হাজার মেট্রিক টন আলুর চাহিদা রয়েছে।
তবে কোল্ড স্টোর মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির জন্য আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. ডাব্লিউ.এম. রায়হান শাহ,রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, উপ পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, প্রেসক্লাবের সাধারন সাধারন মেরিনা লাভলীসহ জেলার আট উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সকল কোল্ড স্টোর মালিক, ম্যানেজার ও ব্যবসায়ী বৃন্দ।