সুন্দরবনের দুবলার চরে জেলে পল্লীতে শুঁটকির মৌসুম শুরু

বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন সংলগ্ন দুবলার চরে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে শুঁটকি আহরণ মৌসুম। প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার জেলে। ইতোমধ্যে জেলেরা নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাস পারমিট নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম, কয়রা, সাতক্ষীরা, বরগুনার পাথরঘাটা, পিরোজপুর, বাগেরহাটের শরণখোলা, রামপাল ও মোংলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জেলেরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রওনা হয়েছেন দুবলার চরের উদ্দেশে।শুঁটকি আহরণ নিয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সাগর বক্ষের এই ছোট্ট চরে চলবে জেলেদের মহাব্যস্ততা। আলোরকোল, মাঝেরকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালারচর- মৌসুমের পাঁচ মাস দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন এই চারটি চরে চলবে শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া।

এ বছর শুঁটকি আহরণ মৌসুমে এই চারটি চরে এক হাজার ১০৮টি জেলে ঘর, ৭৮টি ডিপো ঘর ও শতাধিক দোকানঘর তৈরির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

দুবলার চরকেন্দ্রিক গত বছরের শুঁটকি মৌসুমে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার শুঁটকি উৎপাদন বাড়বে- এমন প্রত্যাশা বন বিভাগের।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় শুক্রবার সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে শুঁটকি আহরণ মৌসুম। তা চলবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শুঁটকি আহরণ মৌসুমে জেলেরা অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল ও মাচা তৈরি করবে।
বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুঁটকি পল্লীর উদ্দেশে যাত্রার আগে নৌকা ও ট্রলারে করে অস্থায়ী ঘরসহ মাছ শুকানোর চাতাল ও মাচা তৈরির সরঞ্জাম জেলেদের সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। কেননা অস্থায়ী এসব স্থাপনা তৈরিতে সুন্দরবনের কোনো গাছপালা ও লতাপাতা ব্যবহার করা যাবে না।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘সুন্দরবনের দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালারচর- এই চারটি চরে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু হচ্ছে শুক্রবার। ইতোমধ্যে বন বিভাগের কাছ থেকে পাস নিয়ে জেলেরা দুবলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দুবলার চারটি চরে টানা পাঁচ মাস অবস্থান করবেন ১০ হাজারের বেশি জেলে। তবে বেসরকারি হিসাব মতে এর সংখ্যা অনেক বেশি, ৩০ হাজার ছাড়িয়ে। এ বছর দুবলা শুঁটকি পল্লীতে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ১০৮টি ঘর, ৭৮টি ডিপো এবং শতাধিক দোকান স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles